আইন-আদালত

আদালতের কাঠগড়ায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

আদালতের কাঠগড়ায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেফতার করে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) বিকেল ৩টা ৫ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। এরপর বিকাল ৪ টা ১০ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে তোলা হয়।

Advertisement

কিছুক্ষণ পর এ মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আজ (সোমবার) শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ রিমান্ড আবেদন করেন।

রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত নূরুল হুদাকে আটক করে জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

এর আগে, রোববার সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।

Advertisement

মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০০৯ সালে তৎকালীন সামরিক শাসকদের সহায়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার পর তা পাকাপোক্ত করার জন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করান। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনাসহ তার সরকার অবৈধভাবে শপথ নেওয়ার পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে তিনিসহ তার মন্ত্রী পরিষদ, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের ক্যাডাররা বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীদের অপহরণ করা, গুম, গুরুতর জখম, হত্যা ও বিভিন্ন উপায়ে নির্যাতন শুরু করে। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আসামি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আসামি এ কে এম নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।

এমআইএন/এএমএ/এএসএম