আইসিটি বিভাগের ‘হার পাওয়ার প্রকল্প’ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। লার্নিং ম্যানেজমেন্টে সিস্টেম (এলএমএস) না থাকা, রাজনৈতিক প্রভাবে প্রশিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি না থাকার অভিযোগ শুনে এ হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
Advertisement
তিনি বলেছেন, ২৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, কিন্তু কোনো লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডেভেলপ করা হয়নি। এটা হতাশার বিষয়।
আহমদ তৈয়্যব বলেন, যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের জন্য আরও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে এআই প্রযুক্তি, কলসেন্টারে বট, ই-কমার্সে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স আসছে। যারা আগে প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের উন্নতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। এ জন্য যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের ডেটাবেজ করা দরকার। আগামীতে সারাদেশের কম্পিউটার কাউন্সিল, হাইটেক পার্কের ল্যাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা প্রশিক্ষণ নেবেন তাদের ওয়ার্কএবল পিসি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ডেটা সিলেকশন ক্রাইটেরিয়াবেজড হবে। ভেন্ডরদের ট্রেইনার হবে ক্রাইটেরিয়াবেজড। ট্রেইনাররা দুই ধরনের সার্ভে করে। একটা হচ্ছে স্টুডেন্টবেজড, যেটা আমাদের কাছে রেকর্ড থাকবে। আরেকটা সার্ভে হবে ট্রেইনারদের। তারা কতখানি এক্সপার্ট সেটা জানতে হবে। যারা ট্রেনিং দিচ্ছেন ও যারা ট্রেনিং পাচ্ছেন উভয়কেই স্বীকৃতির ব্যবস্থা করতে হবে।
Advertisement
এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী তারিন আকতার মিতা। তিনি গাইবান্ধায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখন ফ্রিল্যান্সিং করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। তিনি জানান, প্রশিক্ষণকালে তাকে মানসম্মত ল্যাপটপ দেওয়া হয়নি।
গাজীপুর সদরে প্রশিক্ষণ নেওয়া মীম আকতার অপর্যাপ্ত ল্যাব ফ্যাসিলিটির অভিযোগ জানান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আট বিভাগের ৪৪ জেলা ও ১৩০ উপজেলায় এই প্রকল্পের বিস্তার হয়েছে। হার পাওয়ার প্রকল্প- প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে খরচ হয়েছে ২৮৭ কোটি টাকা। যেখানে ২৫ হাজার ১২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যার মধ্যে ১০ হাজার ৪০০ জন ফ্রিল্যান্সিং, ১০ হাজার ৪০০ জন আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার, এক হাজার ৭৫ জন কলসেন্টার এজেন্ট ও তিন হাজার ২৫০ জন ই কমার্স প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুন) আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে হার পাওয়ার প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সাঈদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হার পাওয়ার প্রকল্প এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এসএম/এএমএ/এমএস