দেশজুড়ে

দোকানে গিয়ে জাল টাকা ভাঙতি করে নিতেন আসল টাকা

দোকানে গিয়ে জাল টাকা ভাঙতি করে নিতেন আসল টাকা

নিজের জেলা থেকে আরেক জেলায় যান। এরপর সে জেলায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন দোকান থেকে পণ্য কেনেন। দাম পরিশোধে ৫০০ বা ১০০০ হাজার টাকার নোট দিতেন দোকানির হাতে। এই টাকাগুলো মূলত জাল থাকতো। সর্বোচ্চ তারা এক থেকে দেড়শো টাকার জিনিস কিনতেন। এভাবেই জাল টাকা ভাঙতি করে আসল বানাতেন।

Advertisement

এমনই একটি প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার (২২ জুন) বিকেল ৫টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার মাজার বটতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, তিনটি মোবাইল ও নগদ টাকা জব্দ করে র্যাব।

গ্রেফতাররা হলেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রিকাত শেখের ছেলে সবুজ শেখ (৩২), কাংলাকান্দা এলাকার সেলিম ফকিরের ছেলে সবুজ ফকির (৩৩), জুজ্ঞীদহ এলাকার রাজ্জাক মোল্লার ছেলে আতিক মোল্লা (২৩) ও দ্বারিয়াপুর কান্দাপাড়ার মৃত তারা প্রামাণিকের ছেলে শাহিদুল প্রামানিক (৪০)।

র্যাব বলছে, সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে পাবনায় গিয়ে ঘুরে ঘুরে দোকান থেকে বিভিন্ন পণ্য কিনতেন তারা। এর মূল্য হিসেবে ৫০০ বা ১০০০ হাজার টাকার জাল নোট দিতেন। সর্বোচ্চ তারা এক থেকে দেড়শো টাকার জিনিস কিনতেন। কিন্তু দোকানিকে দিতেন হাজার টাকার নোট। এভাবেই তারা জাল টাকা ভাঙতি করে আসল বানাতো।

Advertisement

সবশেষ রোববার তারা পাবনায় যান। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পাবনা র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, কোরবানির ঈদের আগে তারা পাবনায় যাতায়াত শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিল গরুর হাটে ভিড়ের মধ্যে গরু ও অন্যান্য জিনিস কিনে জাল টাকা চালানো। কিন্তু হাট ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের তৎপরতায় তেমন সফলতা পাননি। ফলে তারা পাবনার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ওই জাল টাকা দোকানে চালাচ্ছিল। মূলত তারা এই জাল টাকা টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করে।

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করে তাদের আতাইকুলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলমগীর হোসাইন নাবিল/জেডএইচ/এমএস

Advertisement