রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় মৌমিতা বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বাবা নিহতের ঘটনায় ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে আটককৃত ১০ বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে বাসগুলো ছাড়া হয়।
এর আগে ৮ জুলাই বকশীবাজার এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের বাসের ধাক্কার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত বিনতে জুহুরের বাবা জহুরুল হক নিহত হন। এর পরদিন বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী মৌমিতা পরিবহনের ১০ বাস ক্যাম্পাসে আটকে রেখে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাস কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে শিক্ষার্থীরা মোট ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর থেকে কয়েক দফা আলোচনা শেষে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেন বাস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এ ঘটনায় আরও পাঁচ লাখ টাকা আগামী তিন মাসের মধ্যে দেবেন এমন লিখিত আশ্বাসের পর রাত ১১টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
Advertisement
বাস আটকানোর ঘটনায় রিফাতের সহপাঠীরা জানান, রিফাতের ছোট ভাই ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন বাবা জহুরুল হক। বাসের ধাক্কায় তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মারা গেছেন। ফলে তারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৌমিতা পরিবহনের বাসগুলো ক্যাম্পাসে আটকে রাখা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, বাস কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা নগদ দিয়েছেন। ওই টাকা ভুক্তভোগীর সন্তান রিফাতের কাছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার লিখিত আশ্বাসও দিয়েছেন তারা।
সৈকত ইসলাম/এএইচ/এএসএম
Advertisement