পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় বিগত ১৭ বছর অ্যালুমেনিয়ামের পল্লী বিদ্যুতের তারের ব্যবসা করতেন।
Advertisement
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এস এম মো. নজরুল ইসলাম।
সোহাগ হত্যাকাণ্ডে চাঁদাবাজির এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজি ওইভাবে না, এটা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। নিহত সোহাগ হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় অ্যালুমেনিয়ামের পল্লী বিদ্যুতের তারের ব্যবসা করতেন এক সময়। পল্লী বিদ্যুতের যে তার চুরি হতো সেই তার কিনে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে বিক্রি করতেন। বিগত ১৭ বছর এই কাজ করেছেন নিহত সোহাগ।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের ফলে সোহাগ তার ভোল পাল্টে এদিকে আসেন। আরেকটি গ্রুপ তখন আরেকটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে যায়। তখন ব্যবসায়িক বিভেদ তৈরি হয়েছে উভয়ের মধ্যে। উভয়পক্ষই আগে থেকেই পূর্বপরিচিত। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং কোন্দল থেকে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দেন সোহাগের বোন: ডিএমপি কমিশনারসোহাগ হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত কি না এবং সামনে নির্বাচনকে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য কোনো একটি মহল এ ধরনের মিশনে নামছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এমন মনে হয়নি। ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, এই দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নির্বাচন প্রভাবিত করা কিংবা সরকারকে বেকায়দায় ফেলানো বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড হয়নি, এখন পর্যন্ত তদন্তে এতটুকু পাওয়া গেছে।
কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় যে কোনো ব্যক্তির থাকতে পারে। যে কোনো নাগরিক যে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য, নেতা হতেই পারেন। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ, এ ঘটনার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
টিটি/এসএনআর/জেআইএম
Advertisement