ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করেছে ইরান। রোববার (২০ জুলাই) দেশটির এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বরাতে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
মে মাসের মাঝামাঝি ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে আকস্মিক ও নজিরবিহীন বোমা হামলা চালায়, যার জবাবে তেহরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়।
আরও পড়ুন>
এবার মধ্য গাজা খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন, তবে লক্ষ্য অর্জনই প্রধান: ক্রেমলিনইরানের সেনাবাহিনীর অপারেশন প্রধান মাহমুদ মোসাভি বলেন, শত্রুর লক্ষ্য ছিল আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ধ্বংস করা। যুদ্ধের সময় আমাদের কিছু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বর্তমানে ওইসব ব্যবস্থা পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে।
Advertisement
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কে রয়েছে দেশীয়ভাবে নির্মিত বাভার-৩৭৩ ও খোরদাদ-১৫ সিস্টেম, যেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান প্রতিহত করতে সক্ষম। পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে রাশিয়ার এস-৩০০ সিস্টেমও যুক্ত রয়েছে।
ইরান বলেছে, এ যুদ্ধে দেশটির এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের সামরিক অবকাঠামো ও পরমাণু স্থাপনাগুলো।
২২ জুন ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ফোরদো, ইসফাহান ও নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় নজিরবিহীন হামলা চালায়।
Advertisement
এ হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, পরমাণু কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে কেবল একটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২৪ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা পুনঃগঠনের চেষ্টা কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, তারা এমন একটি পরিকল্পনা তৈরি করছেন যাতে ইরান ভবিষ্যতে আর ইসরায়েলকে হুমকি দিতে না পারে।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম