দেশজুড়ে

বরগুনায় মুগুর দিয়ে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী পলাতক

বরগুনায় মুগুর দিয়ে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী পলাতক

বরগুনার আমতলীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করার পর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২০ জুলাই) দিনগত রাতে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

ওই গৃহবধূর নাম সাজেদা বেগম (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের তৈয়ব আলী হাওলাদারের স্ত্রী।

স্বজনরা জানান, শনিবার রাতে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে গৃহবধূ সাজেদা বেগমকে গুরুতর আহত করেন তার স্বামী তৈয়ব আলী। পরে মেয়েদের বিষয়টি জানিয়ে আহত স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিজেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর স্বজনরা হাসপাতালে গেলে চিকিৎসার জন্য টাকা যোগাড়ের কথা বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে পালিয়ে যান। পরে সাজেদা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সাজেদা বেগমের মেয়ে জামাই মো. আব্বাস হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাজের জন্য পিরোজপুরে ছিলাম। রাতে আমার স্ত্রীর মাধ্যমে খবর পাই শাশুড়িকে মারধর করেছে আমার শ্বশুর। পরে আমি তাকে নিয়ে আমতলী হাসপাতালে যেতে বলি। আমার স্ত্রী হাসপাতালে গেলে তার কাছে দুই হাজার টাকা দিয়ে আরও টাকা নিয়ে আসার কথা বলে তিনি চলে যান।’

Advertisement

সাজেদা বেগমের চাচাতো ভাই ফকু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকালে বোনের মৃত্যুর খবর শুনে তাদের বাড়িতে যাই। ওই বাড়ির পাশে একটি সাইক্লোন সেল্টারের সিঁড়ির ওপরে রক্তের দাগ দেখতে পাই। পরে বাড়ির মধ্যে গিয়ে বোনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। তার হাত ভাঙা ছিল পায়েও মারধরের দাগ ছিল। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।’

শাহজাহান নামে সাজেদা বেগমের আরেক ভাই বলেন, ‘বোনের স্বামী তৈয়বের আগে থেকে বিভিন্ন সমস্যা ছিল। তাদের মধ্যে নানা সময়ে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে আগেও মনোমালিন্য হত। তৈয়বের লেনদেনও ভালো না। তবে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার পর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু কী কারণে এসব হলো সেটি বুঝতে পারছি না।’

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. জহুরুল ইসলাম হাওলাদার জাগো নিউকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নুরুল আহাদ অনিক/আরএইচ/জিকেএস

Advertisement