খেলাধুলা

মিরপুরে জুলাই স্মরণ, আহতদের জন্য প্রতিদিন ১০০ টিকিট

মিরপুরে জুলাই স্মরণ, আহতদের জন্য প্রতিদিন ১০০ টিকিট

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও প্রবেশপথ। সেই প্রবেশপথের বামপাশে বসানো বিশাল এক জায়ান্টস্ক্রিন। স্ক্রিনের উপরে একটি ব্যানার টানানো। যেখানে লেখা, হিরোস লাইভ ফরএভার (বীরেরা চিরঞ্জীব)।

Advertisement

সেই জায়ান্টস্ক্রিনে সারাক্ষণই দেখানো হচ্ছে জুলাই বিপ্লবের নানা স্মৃতি। ১ জুলাই থেকে শুরু করে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) পর্যন্ত প্রতিদিনের ঘটনাপ্রবাহ, নানা ধরনের স্লোগান, বিপ্লবের আইকনিক ছবি, আবু সাইদ, মুগ্ধ থেকে শুরু করে জুলাই শহীদদের ছবি এবং নানা ধরনের গ্রাফিতি- সবই দেখানো হচ্ছে সেই জায়ান্ট স্ক্রিনে।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই জুলাই স্মরণে বিসিবি এই আয়োজন করে এসেছিল। আজও শেষ ম্যাচেও তাই স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশ পথের পাশে শোভা পাচ্ছিল সেই বিশাল জায়ান্ট স্ক্রিন। শুধু তাই নয়, মূল প্রবেশ পথের সামনে স্টেডিয়ামের বাইরের অংশে ঝুলানো হয়েছে বিশাল বিশাল ব্যানার। যেখানে জুলাইয়ে নিহত-আহত বীরদের স্মরণ করা হয়েছে।

শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের তিন পাশেই রাস্তা। প্রতিটি রাস্তার রোড ডিভাইডার ও দুই পাশে ফুটপাথের প্রতিটি ইলেক্ট্রিক পোলেই একটি করে ফেস্টুন টানানো। প্রতিটিতেই লেখা, ‘প্রতিরোধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি’। স্টেডিয়াম ২ নম্বর গেট দিয়ে দুটি ক্লাব হাউজে প্রবেশ করা যায়। যেটা আবার মিডিয়া কর্মীদেরও প্রবেশ পথ। মিডিয়া প্লাজার সামনের অংশে প্রবেশ পথের দুই পাশে শোভা পাচ্ছে জুলাই স্মরণে বিশাল বিশাল ফেস্টুন ও প্লেকার্ড।

Advertisement

মিডিয়া প্লাজার ঠিক সামনে একটি ছবি ফ্রেমও বসানো হয়েছে। যার ব্যাকগ্রাউন্ডে রাখা হয়েছে জুলাই স্মরণে তৈরি করা বিশেষ গ্রাফিতি। তার সামনে দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থকরা ছবি তুলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করছেন।

মিরপুর-২ নম্বরের মোড়ে পূর্নিমা হোটেলের সামনে দেখা গেলো একটি জটলা। এর মধ্যে তিন-চারজনের গায়ে দেখা গেলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দেয়া একটি সাদা জার্সি পরা। যেগুলোর বুকের ওপর বাংলাদেশের পতাকার প্রতিকৃতির ওপর লেখা ‘জুলাই’। খোঁজ নিতেই জানা গেলো, তারা জুলাই আন্দোলনে আহত। মোহাম্মদ জাকের শিকদার, আহত হয়েছিলেন ১৮ জুলাই, বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে।

একটি ক্র্যাচে ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আরও দু’জনের সঙ্গে। তাদের একজন মোহাম্মদ আল আমিন শাওন। মিরপুর ১০ নম্বরে ৮ আগস্ট আহত হয়েছিলেন। চোখে গুলি লেগেছিল। অন্যজন আবু তৈয়ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ জুলাই আহত হয়েছিলেন।

এদের মধ্যে জাকের শিকদার জাগো নিউজকে জানালেন, ‘যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য প্রতি ম্যাচে ১০০টি করে টিকিট বরাদ্ধ করা হয়েছে। আমরা আহতদের বিভিন্ন গ্রুপে এই তথ্য দিয়েছিলাম। এ তথ্য পেয়ে আগ্রহীরা যোগাযোগ করেছে। সেখান থেকে অগ্রণীভিত্তিতে প্রতিম্যাচে ১০০ জনকে টিকিটগুলো দেয়া হয়েছে। যাদেরকে টিকিট দেয়া হয়েছে, তাদেরকে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়, কোন ম্যাচের টিকিট পাচ্ছে। তারাই আসছে এবং মেসেজ চেক করে সেই জুলাই আহতদের টিকিট দেয়া হচ্ছে খেলা দেখার জন্য।’

Advertisement

আইএইচএস/এমএমআর/জেআইএম