জাতীয় উশু প্রতিযোগিতার ১৮তম আসর উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর।
Advertisement
পাঁচ দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে একদিন আগে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হয়েছে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম উশুর জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান বলেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে উশুর সুদিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশে উশুর দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয় লাভ করা আমাদের লক্ষ্য।
উশু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসান দিলু বলেন, ফেডারেশন চেষ্টা করছে ঢাকার অদূরেই উশুর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও আধুনিক ক্রীড়া স্থাপনা তৈরির।
Advertisement
এবারের প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং বিকেএসপিসহ মোট ২৮ দলের প্রায় ৪১৮ জন ক্রীড়াবিদ, কোচ ও কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।
পুরুষ ও নারী মিলিয়ে এবার রয়েছে ২৭টি ইভেন্ট। এর মধ্যে সান্দা ফাইটে ১৯ টি এবং তাওলুতে ৮টি ইভেন্ট। প্রতিযোগিতা শেষে বিভিন্ন শ্রেণিতে সর্বমোট ১০৮টি পদক (স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্র) প্রদান করা হবে।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে প্রতিটি স্বর্ণপদক বিজয়ীকে প্রাণ গ্রুপের সৌজন্যে আকর্ষণীয় ইলেকট্রনিক পণ্য উপহার দেওয়া হবে। দলীয় চ্যাম্পিয়নদের জন্য রয়েছে ট্রফি। সকল প্রতিযোগীকে টি-শার্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে।
প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে একই ভেন্যুতে আগামী ২৭ জুলাই বিকেল ৪টায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লী শাওপেং।
Advertisement
উল্লেখ্য, জাতীয় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের নিয়ে আগামী আগস্ট থেকে মিরপুর ক্রীড়া পল্লীতে আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হবে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে নিতে বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম