ভূমিধসে দার্জিলিংয়ে ১৭ জনের মৃত্যু, সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় টানা প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্যোগের কারণে প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলা দার্জিলিংয়ে শুক্রবার রাতভর প্রবল বর্ষণের পর মিরিক, সুখিয়াপোখরি ও সংলগ্ন এলাকায় একাধিক জায়গায় ভূমিধস হয়েছে।
পুলিশ ও প্রশাসন উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আগামীকাল পরিস্থিতি পরিদর্শনে দার্জিলিং যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স (টুইটার)-এ শোক প্রকাশ করে বলেন, দার্জিলিংয়ে প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কেন্দ্র সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে।
ভূমিধসের কারণে দার্জিলিং–সিকিম মহাসড়ক এবং দার্জিলিং–শিলিগুড়ি সড়কসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ফলে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। দুর্গাপূজার পর বিপুল সংখ্যক পর্যটক দার্জিলিং সফরে আসায় অনেকেই এখন সেখানে আটকা পড়েছেন।
কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র যেমন টাইগার হিল ও রক গার্ডেন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।
প্রসিদ্ধ টয় ট্রেন পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে।
তাছাড়া প্রবল বর্ষণে দার্জিলিং ছাড়াও জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি ও কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর আগে থেকেই উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের জন্য দুটি রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই বৃষ্টি ৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে, যা হঠাৎ বন্যার আশঙ্কা তৈরি করছে।
দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্য রাজু বিস্তা বলেন, অত্যধিক বৃষ্টিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। আমি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি এবং প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম