ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধস/ ছবি: এএফপি

ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। উদ্ধারকারীরা এখনো নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির। 

গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরের আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুপুরের নামাজ চলাকালে ভবনের ভিত্তি ওপরের তলায় চলমান নির্মাণকাজের চাপ সামলাতে না পেরে ধসে পড়ে এবং শতাধিক কিশোর শিক্ষার্থীর ওপর ভেঙে পড়ে।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার (বাসার্নাস) অপারেশন ডিরেক্টর যুধি ব্রামান্তিও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা ৫৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে এখনো কাজ করে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।

যুধি ব্রামান্তিও বলেন, আশা করি আমরা আজ (সোমবার) উদ্ধারকাজ শেষ করতে পারব এবং আমরা মরদেহগুলো পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেব।

জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার (বিএনপিবি) উপ-প্রধান বুদি ইরাওয়ান বলেন, এটি ছিল এখন পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক দুর্যোগ। তিনি আরও বলেন, কমপক্ষে ১৩ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

তদন্তকারীরা স্কুলটি ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক ইঙ্গিত থেকে বোঝা যাচ্ছে যে নিম্নমানের নির্মাণকাজ এই ঘটনার জন্য দায়ী হতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ক্রেন দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে। সোমবারের মধ্যে সব ধ্বংসস্তূপ সরানো শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার থেকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার শুরু হয়। তার আগে উদ্ধারকর্মীরা সুড়ঙ্গ কেটে শিক্ষার্থীদের নাম ধরে ডাকছিলেন এবং সেন্সর দিয়ে প্রাণের চিহ্ন খুঁজছিলেন। তবে কোনো সাড়া মেলেনি।

আল খোজিনি স্থানীয়ভাবে ‘পেসানত্রেন’ বা ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল নামে পরিচিত। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ। সরকারি হিসাব অনুসারে, দেশটিতে প্রায় ৪২ হাজার ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলে ৭০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।