কংগ্রেসের এমএলএ-কে পেটাচ্ছে পুলিশ

ভারতের কেরালা রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেস দলীয় সদস্য সফি পরম্বিলসহ কেরালা স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (কেএসইউ) শিক্ষার্থীদের রাস্তায় ফেলে পেটাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবারই এই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে। তার জেরেই গতকাল বুধবার উত্তাল হয় কেরালার বিধানসভা।
গতকাল অনেক বিরোধী বিধায়ক মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে রক্তের দাগ লাগানো পোশাক পরে বিধানসভায় হাজির হন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট) অধিবেশনের শুরু থেকেই সোচ্চার হয় ওই ঘটনা নিয়ে।
অনেকে ইয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেস বিধায়ক ভিটি বলরাম দাবি করেন, ‘সভার কর্মকাণ্ড স্থগিত রেখে গতকালের পুলিশি নিগ্রহ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তুমুল হট্টোগোল করতে করতে পাঁচ বিধায়ক স্পিকারের আসনের কাছাকাছি চলে এলে, স্পিকার ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে যান।
আলোচিত এক ধর্ষণ মামলা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মঙ্গলবার রাস্তায় নামে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন কেএসইউ। মিছিলের সামনে ছিলেন কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ক সফি পরম্বিল। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুর হয় তাদের।
কেএসইউ-এর অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জে বিশজনের বেশি ছাত্রনেতা আহত হন। তবে সবচেয়ে বেশি আহত হন বিধায়ক সফি। দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, তাকে বেশ কয়েকজন পুলিশ ঘিরে ধরে বেধড়ক পেটাচ্ছে।
২০১৭ সালে পলক্কর জেলার ওয়ালার অঞ্চলে দুটি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে এক শিশু আত্মহত্যা করে। আর একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের পর দেখা যায় দু’টি শিশুকেই ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত বন্ধ করা নিয়েই আন্দোলন।
সোমবার কেরালার এলডিএফ (বাম গণতান্ত্রিক জোট) সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারই বিজয়ন ঘোষণা দেন, ‘এই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। শিশুদুটির পরিবার সিবিআই তদন্ত চাইলে যেতে পারে।’ তারপর শুরু হয় কংগ্রেসের বিক্ষোভ। বিক্ষোভ থামাতে জলকামান চালায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
2019. #Kerala!
— Sneha Koshy (@SnehaMKoshy) November 19, 2019
Kerala police Vs KSU leader
During a protest/police-KSU clash. pic.twitter.com/zbDCLyfsvh
এসএ/জেআইএম