সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন করোনা আক্রান্ত ৪৭৪০ রোগী
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে গত ৩১ ডিসেম্বর কোভিড-১৯ নামে নতুন এক ভাইরাসজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তাতে আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭৪০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার এই তথ্য দিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার বুধবারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন করোনাভাইরাস নিয়ে তাদের প্রাত্যহিক রিপোর্ট দিয়েছে বুধবার। তাতে বলা হচ্ছে, গতকাল মঙ্গলবার প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৭৪৪ রোগী হাসপতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, এরমধ্যে ৪১৭ জনই হুবেই প্রদেশের।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন মঙ্গলবারের হিসাব দিয়েছে আজ বুধবার। তাতে তারা জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৩ জনে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। ভাইরাসটি চীনের ৩১ প্রাদেশিক পর্যায়ের অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউিএইচও) প্রধান। তিনি বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যেন সবাই ভাইরাসটির নমুনা ভাগাভাগির মাধ্যমে ওষুধ কিংবা এর টিকা তৈরির গবেষণাকে ত্বরান্বিত করে।
চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙ্গর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামক প্রমোদতরীতে। বিলাসবহুল ওই নৌযান ৩ হাজার ৭০০ যাত্রী নিয়ে এখন কোয়ারেন্টাইনে। বুধবার পর্যন্ত সেখানে থাকা ১৭৫ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসজনিত এই রোগের নামকরণ করেছে কোভিড-১৯। করোনার প্রথম দুই অক্ষর (CO), ভাইরাসের প্রথম দুই অক্ষর (VI), ডিজিজের (রোগ) প্রথম অক্ষর ডি (D) এবং ২০১৯ সালে ভাইরাসটির উৎপত্তি হওয়ায় তাতে ১৯ যোগ করেই কোভিড-১৯ নামকরণ করা হয়।
এসএ/জেআইএম