সিঙ্গাপুরে আরও ৩ জন করোনায় আক্রান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৮ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনের প্রতিবেশী সিঙ্গাপুরে আরও তিন ব্যক্তি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫০ জনে। চীনের পর যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সিঙ্গাপুরের জাতীয় দৈনিক দ্য স্ট্রেইট টাইমসের অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

আজ নতুন করে কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়া তিন ব্যক্তির কেউই সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেননি। এদের মধ্যে দুজন একসঙ্গে গ্রেস অ্যাসেম্বলি অব গড নামের একটি চার্চে গিয়েছিলেন। তৃতীয়জন ম্যারিনা বে ফিনান্সিয়াল সেন্টারের ডিবিএস ব্যাংকের কর্মী। তারা সবাই সিঙ্গাপুরের নাগরিক।

সিঙ্গাপুর প্রবাসী দুজন বাংলাদেশিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে করোনা আক্রান্ত ৫০ রোগীর মধ্যে ১৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বাকি ৩৫ জনের মধ্যে আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গান কিম ইয়ং।

সিঙ্গাপুরের আন্তঃমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সহ-সভাপতি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী গান কিম ইয়ং বলেন, ‘কিছু রোগী সেরে উঠলেও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও কিছু মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যত ভয়াবহ হোক না কেন, আমরা তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে গত শনিবার প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশির- আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর সিঙ্গাপুরে গতকাল মঙ্গলবার আরও এক বাংলাদেশির শরীরে- ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। তাদের দুজনেরই বয়স ৩৯ বছর। উভয়ের চিকিৎসা চলছে সিঙ্গাপুরে।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন মঙ্গলবারের হিসাব দিয়েছে আজ বুধবার। তাতে তারা জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৩ জনে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। ভাইরাসটি চীনের ৩১ প্রাদেশিক পর্যায়ের অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।