লেবাননে ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
লেবাননে নতুন করে আরও ৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগী বেড়ে দাঁড়ালো ১০ জনে। এদের মধ্যে ৮ জন লেবানের, ১ জন সিরিয়ার ও ১ জন ইরানের নাগরিক।
রোববার (১ মার্চ) লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া ৩৩ জনকে আরও পরীক্ষা করার জন্য লেবাননের রফিক হারিরি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে করোনভাইরাস রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৮ই মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, নতুন করে আক্রান্তদের ইরান ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরার পর নিজেদের বাসায় স্ব-কোয়ারান্টাইন থাকাকালীন করেনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয় এবং তাদের দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। এর আগে শনিবার শনাক্ত তিনজন আগে আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভাইরাস প্রাদুর্ভাবকারী দেশগুলো থেকে লেবাননে আসা সবাইকে নিজ বাড়িতে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে থেকে নির্দেশাবলী সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। যদি কারও করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ অনুভত হয়, তাহলে দ্রুত হটলাইনে নম্বরে (৭৬৫৯২৬৯৯) কল করতে লেবানিজ ও প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার সাপ্তাহিক খোলাবাজার ও সড়ক বাজারগুলো বন্ধ রাখা হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে লেবাননে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। রোববার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈরুত দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স আব্দুল্লাহ আল মামুন এ অনুরোধ জানান।
লেবাননে করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম তিন রোগী ইরান ভ্রমণ করে দেশে ফিরেছিলেন, যাদের সকলই লেবাননের নাগরিক। চতুর্থ রোগী সিরিয়ান নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল, যার সংক্রমণটি স্থানীয়ভাবে ঘটেছিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে বিশ্বের ৫৬টি দেশে এ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৫২৯ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ হাজার ৯৫৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৮২৪ জন। অপরদিকে, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১৫০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই ভাইরাসের বিস্তারে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে মহামারির শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
এমএসএইচ