করোনা আক্রান্তদের অর্ধেকই সুস্থ হয়েছেন
বিশ্বের লক্ষাধিক মানুষ এখন চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ১০৪টি দেশে বিস্তার লাভ করা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ৩ হাজার ৫৯৮ জন। তবে করোনায় সুস্থতার হারও অর্ধেকের বেশি।
বিশ্বের প্রথম সারির সব গণমাধ্যম আর বিভিন্ন দেশের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরের শেষে উহান থেকে উৎপত্তি লাভের পর এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা ১ লাখ ৫ হাজার ৮০৪টি। আর প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫৮ হাজার ৫৬৮ জন।
উৎপত্তিস্থল চীন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কবলে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। দেশটির সব অঞ্চলে থাবা মেরেছে করোনাভাইরাস। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের ৩ হাজার ৯৭ জন চীনের। এছাড়া দেশটিতে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও ৮০ হাজারের বেশি। অবরুদ্ধ হয়ে আছে কোটি কোটি মানুষ।
চীনের পর সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই সংখ্যা এখন ৭ হাজার ৩১৩ জন। তবে চীনের পর ২৩৩ মত্যৃ নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে ইতালি। সেখানে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। ১৯৪ মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৮২৩ আক্রান্ত নিয়ে ইরানের অবস্থান তৃতীয়।
জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের প্রকোপের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে না। এসব দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরাই বলছেন, তাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির দেশগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কবলে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়, পর্যটন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, খেলাধুলা—সবকিছুতেই একধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বে কয়েক কোটি মানুষ এখন অবরুদ্ধ। সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এই মানুষগুলো এখন কোয়ারেন্টাইনে। স্কুল যেতে পারছে না বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি শিক্ষার্থী।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি
এসএ/এমএস