করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার ৯ কারণ
করোনা মহামারি এখন বিশ্বের গুরুতর এক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্পদিনের মাথায় চীন থেকে বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৬৪৮ মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা লক্ষাধিক। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি নিয়ে আশস্ত হওয়া মতো ৯টি বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো।
স্বাস্থ্য, রাজনীতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এই ভাইরাস অবশ্যই মারাত্মক এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে স্পেনের নাভারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক লোপেজ গোনি কিছু আশার বাণী শুনিয়েছে—যা নতুন এই ভাইরাস মোকাবিলায় আশ্বস্ত হওয়ার মতো।
এক. সতর্ক থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সহজ নয়। ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে আক্রান্তের শারীরিক সংস্পর্শে আসলে বা আক্রান্তের কফ-থুতু গায়ে লাগলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে রাস্তায় ক্রস করতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
দুই. কেবল ঘন ঘন হাত ধোয়ার মতো সহজ উপায়েই এই ভাইরাস মেরে ফেলা সম্ভব।
তিন. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস আক্রান্তের শারীরিক অসুবিধা সামান্য। স্বাভাবিক জ্বর-সর্দির মতো।
চার. আক্রান্তদের আড়াই শতাংশের কম মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকতে পারে—যদি তারা বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা বা অন্যান্য বড় রোগে আগে থেকেই আক্রান্ত থাকেন।
পাঁচ. সুস্থ-সবল মানুষের আক্রান্ত বা ‘সংকটাপন্ন’ হওয়ার হার একেবারে কম।
ছয়. এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত যেমন হচ্ছে, তেমনই সেরেও উঠছে প্রতিদিন।
সাত. মনে রাখা যেতে পারে—এই ভাইরাসের উৎস, প্রকৃতি ও সংক্রমণের ধরন সাত দিনের মাথায় শনাক্ত হয়েছিল। যেখানে এইচআইভি এইডসের ক্ষেত্রে সময় লেগেছিল দুই বছর। প্রতিষেধক টিকা উদ্ভাবনের কাজও অনেকদূর এগিয়েছে।
আট. ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা সম্ভব।
নয়. কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিলে নতুন এই ভাইরাসের বিস্তার ভৌগোলিকভাবেই ঠেকানো সম্ভব।
এসএ/এমকেএইচ