সিঙ্গাপুরে আরও ১২ জন করোনায় আক্রান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২০

সিঙ্গাপুরে নতুন করে আরও ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। রোববার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাফরা জুরং নামক এলাকায় আয়োজিত রাতের খাবারের একটি অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

সিঙ্গাপুরের জাতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য স্টেইট টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আজকের ১২ জন নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ নাম রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫০ জনে। ইতোমধ্যে অবশ্য তাদের ৯০ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

আজকের ১২ জনের মধ্যে ৯ জন রাতের খাবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলেও বাকি তিনজনের একজন কিছুদিন আগে আক্রান্ত এক রোগী এবং অপরজন অন্য দেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এছাড়া বাকি একজন কীভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তবে দেড়শ জনের মধ্যে অবশিষ্ট ৬০ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। এছাড়া দেশটিতে কর্মরত ৫ বাংলাদেশিও করোনা আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে অবশ্য ৩ জনই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

বিশ্বের লক্ষাধিক মানুষ এখন চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ১০৪টি দেশে বিস্তার লাভ করা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ৩ হাজার ৫৯৮ জন। তবে করোনায় সুস্থতার হারও অর্ধেকের বেশি।

বিশ্বের প্রথম সারির সব গণমাধ্যম আর বিভিন্ন দেশের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরের শেষে উহান থেকে উৎপত্তি লাভের পর এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা ১ লাখ ৫ হাজার ৮০৪টি। আর প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫৮ হাজার ৫৬৮ জন।

উৎপত্তিস্থল চীন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কবলে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। দেশটির সব অঞ্চলে থাবা মেরেছে করোনাভাইরাস। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের ৩ হাজার ৯৭ জন চীনের। এছাড়া দেশটিতে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও ৮০ হাজারের বেশি। অবরুদ্ধ হয়ে আছে কোটি কোটি মানুষ।

চীনের পর সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই সংখ্যা এখন ৭ হাজার ৩১৩ জন। তবে চীনের পর ২৩৩ মত্যৃ নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে ইতালি। সেখানে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। ১৯৪ মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৮২৩ আক্রান্ত নিয়ে ইরানের অবস্থান তৃতীয়।

জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের প্রকোপের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে না। এসব দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরাই বলছেন, তাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির দেশগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।