মোদির ডাকে সার্ক ‘নেতাদের’ ভিডিও কনফারেন্স আজ
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কৌশল ঠিক করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের ভিডিও কনফারেন্স করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ডাকে সাড়াও মিলেছে ভালোই। রোববার (১৫ মার্চ) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সটি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৪ মার্চ) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘সবার ভালোর জন্য একসঙ্গে আসুন। ১৫ মার্চ বিকেল ৫টা। সার্কভুক্ত দেশগুলোর ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভাইরাসটির মোকাবিলায় একটি সাধারণ কৌশল তৈরির লক্ষ্যে এই আলোচনা।’
শুক্রবার (১৩ মার্চ) একাধিক টুইটে সার্ক সদস্যদেশের নেতাদের একজোট হয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তাব দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সার্কভূক্ত সদস্যদেশের নেতাদের উপযুক্ত কৌশল তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি। পাকিস্তাসহ অনেক দেশ তাতে সাড়া দেন।
মোদির আহ্বানের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম টুইট করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের এবং সারা বিশ্বে বিরাজমান এই সংকট উত্তরণে এখন পর্যন্ত প্রস্তাবে সাড়াদানকারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছেন।
করোনার মোকাবিলায় মোদির প্রস্তাবে পাকিস্তানও রাজি হয়েছে। আজ শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অয়েশা ফারুকি জানান, সার্ক সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার যে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী মোদি দিয়েছেন, পাকিস্তান তাতে যোগ দেবে।
তবে মোদির ডাকে ওই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা (স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট) উপস্থিত থাকবেন। যদিও দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে সেই সম্মতির কথা জানানো হয়নি।
এমন উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা জানান তারা। তারপরই ভিডিও কনফারেন্সটি আয়োজনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার আরেকটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, বিশ্বের জনসংখ্যার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া, সেখানে কোনওরকম যাতে ঘাটতি না হয়, সেটি সুনিশ্চিত করতে হবে আমাদের। সার্কভূক্ত দেশগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, মলদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সার্কভুক্ত প্রত্যেকটি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। তবে ভারতে দুজন ছাড়া কোনো দেশে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনাও ঘটেছে ভারতে, ৮৪ জন। অবশ্য এদের মধ্যে ২০ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।
এসএ/জেআইএম