ইতালির দাবি, করোনায় মৃতদের ৯৯ শতাংশই অন্য রোগে ভুগছিলেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৯ এএম, ১৯ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারিতে গত কয়েক সপ্তাহে রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইতালি। সেখানে এপর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গেছেন। বিশ্বের যেকোনও দেশের চেয়ে ইতালিতে করোনায় মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। তবে দেশটির দাবি, সেখানে যত লোক মারা গেছেন তাদের ৯৯ শতাংশই অন্য রোগে ভুগছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭৫ জন, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। দেশটিতে এপর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৭১৩ জন, মারা গেছেন ২ হাজার ৯৭৮ জন। অন্যান্য দেশে করোনায় মৃত্যুহার দুই থেকে তিন শতাংশ হলেও ইতালিতে মৃত্যুহার প্রায় আট শতাংশ। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির সরকার।

এর মধ্যেই ইতালির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে যত মানুষ মারা গেছেন তাদের প্রায় ৯৯ শতাংশের শরীরেই অন্য রোগ ছিল।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত কয়েক সপ্তাহে মৃতদের ১৮ শতাংশের তথ্য অনুসন্ধান করেছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, মাত্র তিনজন অর্থাৎ ০.৮ শতাংশের শরীরে অন্য কোনও রোগ ছিল না। অর্ধেক ভুক্তভোগী অন্তত তিনটি জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং এক-চতুর্থাংশের এক বা দু’বার আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল।

jagonews24

মৃতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন, ৩৫ শতাংশের ডায়াবেটিস ছিল এবং এক-তৃতীয়াংশ হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন।

ইতালিতে যারা মারা গেছেন তাদের গড় বয়স ৭৯ দশমিক ৫ বছর। গত ১৭ মার্চ দেশটিতে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে তিনশ’ মানুষ। এর মধ্যে মাত্র ১৭ জনের বয়স ছিল ৫০ বছরের কম। দেশটিতে ৪০ বছরের কম বয়সী মৃতদের সবাই পুরুষ এবং তাদের সবারই গুরুতর শারীরিক সমস্যা ছিল।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান থেকে প্রাদুর্ভাব শুরু হয়ে এপর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৩৮ জন। প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯০৮ জন। এপর্যন্ত ৮৪ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার মাধ্যম সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।