দেশের অভ্যন্তরে আকাশপথে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল ভারত
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে আগেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত। তবে এবার সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে।
মার্চের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ মার্চ এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দেশটিতে করোনার আঘাত আরও ভয়াবহ হওয়ার এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ১৪ এপ্রিল রাত পর্যন্ত। ওই দিন পর্যন্ত ভারতের সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) দেশটির বিমান পরিবহনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, ২৪ মার্চ রাত ১২টা থেকে দেশের সব ‘ডোমেস্টিক ফ্লাইট’ বা অভ্যন্তরীণ রুটে যাতায়াত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আপাতত দেশের পাঁচটি ছাড়া বাকি সব বিমানবন্দরই কার্যত বন্ধ। জরুরি পরিস্থিতির কথা ভেবে সেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুষ্টিমেয় কয়েকজন কর্মী রাখা হয়েছে।
কলকাতা, চেন্নাই, আমদাবাদ, বারাণসী ও তিরুঅনন্তপুরম— এই পাঁচটি বিমানবন্দর খোলা থাকছে ২৪ ঘণ্টা। কারণ, দেশের আকাশ দিয়ে প্রতিদিন যেসব আন্তর্জাতিক বিমান যায়, তাদের পথ দেখানো হয় মূলত এই পাঁচটি বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে।
তবে এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে জরুরি কারণে অবতরণ করতে চাওয়া বিদেশি এবং পণ্যবাহী প্লেন। কলকাতা থেকে প্রতিদিন গড়ে দু’টি পণ্যবাহী প্লেন ওঠানামা করছে। এছাড়া সেনাবাহিনী বা জরুরি চিকিৎসার জন্য প্লেন, হেলিকপ্টারকেও এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ওড়ার জন্য আলাদা করে আকাশযানকে অনুমতি দেয়া হবে।
দেশবাসী যাতে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঘরবন্দি থাকেন, যাতে কেউ এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে না-পারেন, মূলত সেই জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশ ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৮৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর এ ভাইরাসে দেশটিতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এফআর/এমএস