গোপনে করোনা মোকাবিলার ‘অস্ত্র’ আবিষ্কার করেছে চীন!
সারাবিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে নভেল করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এর উৎপত্তি, বিস্তারের মাধ্যম, ওষুধ, প্রতিষেধক কোনোটাই আবিষ্কার হয়নি। তারপরও করোনার উৎস চীনে আশ্চর্যজনকভাবে মৃত্যুহার যথেষ্ট কম। ইতালি-যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো যেখানে ভাইরাস ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে মাত্র তিন মাসের মধ্যেই মহামারি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছে চীন।
এ কারণে অনেকেরই সন্দেহ, চীনারা গোপনে করোনাভাইরাস মোকাবিলার পথ বের করে ফেলেছে। এ ধারণা যে একেবারে অমূলক নয়, সম্প্রতি তা নিশ্চিত চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস।
গত রোববার সংবাদমাধ্যমটি এক টুইটবার্তায় জানিয়েছে, করোনাভাইরাস ঠেকাতে কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক নয়, বরং নতুন একধরনের ন্যানোম্যাটেরিয়াল আবিষ্কার করেছেন চীনা গবেষকরা। এটি যেকোনও ভাইরাস মোকাবিলায় ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকরী হতে পারে।
তারা জানিয়েছেন, নতুন ন্যানোম্যাটেরিয়ালটি যেকোনও ভাইরাস শুষে নিতে বা অকার্যকর করে দিতে পারে।
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি, প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়া, রঙ, ফিল্টার, লুব্রিকেন্টসহ স্বাস্থ্যসেবায়ও ন্যানোম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়। স্বাস্থ্যখাতে ব্যবহৃত ন্যানোজাইমস একপ্রকার ন্যানোম্যাটেরিয়াল, যা অনেকটা এনজাইমের মতো আচরণ করে।
চীনা সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতোমধ্যেই ওই গবেষক দল দেশটির বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে এবং এই ন্যানোম্যাটেরিয়াল দিয়ে মাস্ক ও পিপিই (পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুয়িপমেন্ট) বানানোর পরামর্শ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) মতে, বিজ্ঞানীরা এখনও ন্যানোম্যাটেরিয়ালের প্রকৃত সংজ্ঞা নির্ধারণ করেননি। তবে এটিকে ন্যানোমিটারে পরিমাপ করে এর আংশিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। ক্যান্সার কোষ ধ্বংস বা এর থেরাপির কার্যকারিতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে বলে বিশ্বাস তাদের।
এনআইএইচ জানিয়েছে, যদিও ন্যানোম্যাটেরিয়ালের যথেষ্ট উপকারিতা আছে, তবে মানবদেহ এবং পরিবেশের ওপর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী সে বিষয়ে এখনও খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। উদাহরণস্বরূপ তারা বলছে, রুপার মতো পরিচিত ধাতব কণাও ন্যানো-আকারে নিয়ে গেলে সেটি ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
সূত্র: খালিজ টাইমস
কেএএ/