বিশ্বে প্রথম একদিনে ১০০০ মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে
বিশ্বে এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে এক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে প্রথম করোনা ধরা পড়লেও দ্রুতগতিতে বিস্তার ঘটায় বৃহস্পতিবার মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ হাজার।
এছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ৭২৭ এবং মৃত ৫ হাজার ৩৭৩। বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। পুরো দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও দেশটিতে সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ নেই। এদিকে, বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ২ লাখের বেশি মানুষ মারা যেতে পারেন।
নিউইয়র্ক শহর বর্তমানে দেশটির করোনাভাইরাসের কেন্দ্র হয়ে উঠলেও কয়েকদিনের মধ্যে ডেট্রোয়েট নতুন কেন্দ্র হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার ডেট্রোয়েটে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
করোনায় প্রাণহানি ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনকেও (৩৩১৮ জন) ছাড়িয়ে গেছে; গত বছরের ডিসেম্বর দেশটিতে প্রথম এই ভাইরাস ধরা পড়ে। স্পেনে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৯১৫, স্পেনে ১০ হাজার ৯৬ জন এবং উভয় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১ লাক ১৫ হাজার ২৪২ এবং ১ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন। এই দুই দেশের মোট সংক্রমণের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইতালির সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন ছিল গত ২৬ মার্চ। ওইদিন দেশটিতে করোনায় সর্বোচ্চ ৯৬৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। তবে চীনে একসঙ্গে একদিনে এতবেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড নেই।
তবে হুবেই প্রদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ২৪২ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। যদিও দেশটিতে করোনায় প্রাণহানি ও সংক্রমণ নিয়ে সরকারি তথ্য অনেকেই বিশ্বাস করেন না।
যমদূত হিসাবে বিশ্বের সামনে হাজির হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মাত্র তিন মাসেই দুই শতাধিক দেশে প্রাণ কেড়েছে অর্ধ লাখের বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। বৃহস্পতিবার রাতে করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণের এই চিত্র দেখা গেছে।
এসআইএস/এমআরএম