আগে না বললেও এখন মাস্ক পরতে বলছে সিডিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মাস্কের গুরুত্ব অপরিসীম বলে উল্লেখ করেছে বিভিন্ন দেশের ডাক্তার-বিশেষজ্ঞরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মাস্ক পরার বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেয়া হচ্ছে দুই ধরনের পরামর্শ। একটি পক্ষ বলছে মাস্ক পরা গুরুত্বপূর্ণ, অপর পক্ষ দাবি করছে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই।

ঘরের বাইরে গেলেই মাস্ক অথবা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতে পরামর্শ দিচ্ছে দেশটির সেন্টার ফর ডিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। বিপরীতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন।

যদিও এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সিডিসির পক্ষ থেকে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছিল। তবে সার্জিক্যাল মাস্ক নয়, কাপড়ের মাস্ক পরতে সিডিসির পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘কিছু মানুষ এটা পরতে চায় না। এ কারণে আমি মনে করি না যে এটা (মাস্ক) পরা বাধ্যতামূলক। তবে কেউ পরতে চাইলে সে পরিধান করতে পারে।’

তিনি বলেন, ’মাস্ক নয় মানুষ স্কার্ফ পরতে চায়। যাদের কাছে এটি আছে তারা এটাই পরতে চায়। অনেক ক্ষেত্রে স্কার্ফটাই ভালো কারণ এটি চিকন।’

তবে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা মনে করেন, মাস্ক পরিধানের ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে।

দেশটির করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেটর ডা. ডেবর্থ ব্রিক্স বলেন, ‘আমরা মানুষকে এটা মনে করাতে চাই না যে, মাস্ক পরলেই আমি সুরক্ষিত এবং অন্যকে সুরক্ষা দিচ্ছি। মূলত মাস্ক পরলে কিছুটা ঝুঁকি কমে। তবে এছাড়াও এমন অনেক কিছু আছে যার থেকে ছড়াতে পারে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস।’ মাস্ক ছাড়াও মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ৯৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫৯ জনে। আর মৃতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ১৬৭। আর যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর প্রাণ গেছে ৬ হাজার ৭৫ জনের।

এফআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।