লন্ডনের হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের আশঙ্কা, আতঙ্কে করোনা রোগীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০২০

লন্ডনের একটি হাসপাতালে অক্সিজেনের মজুত প্রায় শেষের দিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চাহিদার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অত্যধিক বেশি হওয়ায় এমনটা হয়েছে। এই অবস্থায় মারাত্মক অক্সিজেন সংকটে রয়েছেন ওই হাসপাতালের করোনা রোগীরা।

করোনায় আক্রান্ত সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য খুবই জরুরি তাদের মাঝে অক্সিজেন সরবরাহ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করা।

তবে লন্ডনের একটি হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট তৈরি হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তাদের কাছে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ অক্সিজেন মজুত আছে, খুব দ্রুতই এসব অক্সিজেন পাইপের গ্যাস শেষ হয়ে যাবে। এতে করে সংকটাপন্ন করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাঁচিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তবে হাসপাতালটির নাম প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমটি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক এসব ভেন্টিলেটরের গ্যাসের মজুত একবার শেষ হয়ে গেলে হাসপাতালের অক্সিজেনের রিজার্ভ ট্যাংকই শেষ ভরসা। এতে করে রিজার্ভ ট্যাংকের ওপর চাপ পড়বে। ফলে এই মুহূর্তে অতিরিক্ত ভেন্টিলেটর মেশিন সরবরাহ অপরিহার্য মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

এই অবস্থায় হাসপাতালে মজুতকৃত অক্সিজেন যথাযথ ব্যবহারের পরামশ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে সমগ্র ইংল্যান্ড জুড়ে আট হাজার ভেন্টিলেটর মেশিন রোগীদের সেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আরও অন্তত ৩০ হাজার কোভিড-১৯ রোগীর জন্য দরকার ভেন্টিলেটর।

যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার ১৬৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা গেছে। আর মারা গেছে তিন হাজার ৬০৫ জন। এই অবস্থায় ইংল্যান্ডের সামগ্রিক পরিস্থিতি বলছে, দেশটিতে এই মুহূর্তে ৩০ হাজার করোনা রোগীর প্রয়োজন ভেন্টিলেটর মেশিন।

অন্যদিকে দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এজ হেলথ এক প্রতিবেদনে বলেছে, আগামী মে মাসে জটিল রূপ ধারণ করতে পারে কোভিড-১৯। ওই সময় দেশটিতে প্রয়োজনে হবে ৯৩ হাজার ভেন্টিলেটর।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।