এবার রুশ সীমান্ত দিয়ে মহামারি ফেরার শঙ্কায় চীন
শুরুর তাণ্ডবের পর করোনাভাইরাস মহামারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে চীন। তবে কয়েকদিন ধরে দেশটিতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে এর সংক্রমণ। সেক্ষেত্রে নতুন রোগীদের সিংহভাগই বহিরাগত; বিশেষভাবে বললে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাশিয়া সীমান্ত দিয়েই ঢুকছে করোনাভাইরাস।
চীনের সর্বউত্তরের প্রদেশ হেইলংজিয়াংয়ের সঙ্গে রাশিয়ার বিশাল স্থলসীমান্ত রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে এ সীমান্ত দিয়ে নিয়মিতই বহু মানুষ যাতায়াত করেন। এছাড়া, কিছুদিন আগে রাশিয়া সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়ায় এই সীমান্তটাই হয়ে উঠেছে যাতায়াতের প্রধান রুট।
হেইলংজিয়াংয়ের স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্যমতে, গত একমাসে এ প্রদেশে অন্তত ৬০ জন বহিরাগত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন বাদে বাকি সবাই রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তোক শহর থেকে গাড়িতে চড়ে ফিরেছেন। এর আগে তারা ছিলেন মস্কোতে, যেখানে প্রায় তিন হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বহিরাগত ৫৯ রোগীই চীনা নাগরিক।
সারাবিশ্বের মতো রাশিয়াতেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে অনেক কম হলেও গত কয়েকদিনে দেশটিতে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। রাশিয়ায় এপর্যন্ত ৪৭ জন করোনায় মারা গেছেন। সোমবার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯৫৪ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৪৩ জন।
মহামারির প্রথম ধাক্কা সামাল দিতে পারলেও চীনে নতুন করে বহিরাগতদের মাধ্যমে বিপর্যয় তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। একারণে বিদেশে যে যেখানেই আছেন, তাদের আপাতত দেশে না ফেরার অনুরোধ জনিয়েছে বেইজিং।
করোনার উৎস দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৭৪০ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। সোমবার দেশটির মূল ভূ-খণ্ডে নতুন করে ৩২ জন রোগী শনাক্ত হলেও আর কেউ মারা যাননি।
সূত্র: ব্লুমবার্গ, সিএনবিসি
কেএএ/জেআইএম