করোনার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে পরীক্ষামূলক ১০ ওষুধ
চীনের উহান শহর থেকে করোনা এখন সারাবিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনা আঘাত হেনেছে। এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৬০। অপরদিকে মারা গেছে ১৪ হাজার ৯৭৯ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২২ হাজার ৮৯১ জন। তবে ৯ হাজার ২৭৯ জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে নিউইয়র্ক এবং নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে। সেখানে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে যে মহামারি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে নজিরবিহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে ১০টি ওষুধ সাম্প্রতিক সময়ে করোনার চিকিৎসায় পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত করোনার নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা করোনার ভ্যাকসিন তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আগামী ১ বছর থেকে ২ বছরের মধ্যেই করোনার চূড়ান্ত ভ্যাকসিন হাতে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, মার্কিন চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা এগিয়ে এসেছেন। দশটি ওষুধ চিকিৎসাক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের হাতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনার চিকিৎসায় যেন কোনো ধরনের বিলম্ব না হয় এবং নতুন নতুন থেরাপি তৈরি করতে তার প্রশাসন করোনার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা, ল্যাবের কর্মীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন আমি আশা করছি নিকট ভবিষ্যত খুব খুব বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, এক প্রশ্নের জবাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, চারটি ভিন্ন পরীক্ষামূলক চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ওষুধটিকে কোভিড-১৯য়ের চিকিৎসায় কার্যকরী হতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ বিষয়ক প্রশাসন।
এদিকে, বিশ্বে হাইড্রোক্সিক্লােরোকুইনের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত যুক্তরাষ্ট্রে এই ওষুধটি রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের পরেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
টিটিএন/জেআইএম