করোনা চিকিৎসায় ২০ দেশকে বিনামূল্যে ‘অ্যাভিগান’ দেবে জাপান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৪ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নিজেদের তৈরি অ্যাভিগান ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ইতোমধ্যে শুরু করেছে জাপানের ফুজি ফিল্ম। এবার বিশ্বের ২০টি দেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে বিনামূল্যে ফ্লু-রোধী ‘অ্যাভিগান’ ওষুধ সরবরাহের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে জাপান সরকার।

সাধারণত, ঠান্ডা-সর্দির চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাভিগান ওষুধটি চীনে করোনা চিকিৎসায় ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল। চীনের ট্রায়ালে দেখা যায়, করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগীকে ওই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তারা অন্যদের তুলনায় দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। অ্যাভিগানের জেনেরিক নাম অবশ্য ফ্যাভিপিরাভির।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তশিমিসু মোতেগি সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। পৃথক আরেক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োহিশিদে সূগাও একই কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোতেগি বলেন, ‘আরও ৩০টি দেশ এ ওষুধ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।

জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োহিশিদে সূগা বলেছেন, ‘সরকার অ্যাভিগান ওষুধটির ক্লিনিক্যাল গবেষণায় ইচ্ছুক দেশগুলোর সঙ্গে ব্যাপক পরিসরে এ গবেষণা করতে চায়। তাই জাপান সরকার বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধের অনুরোধ জানানো প্রতিটি দেশকেই তা সরবরাহ করবে।’

বিনামূল্যে অ্যাভিগান পেতে যাওয়া এই ২০টি দেশের মধ্যে রয়েছে, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, ইরান, সৌদি আরব ও তুরস্ক। দেশগুলোতে ক্লিনিক্যাল টেস্ট চলছে। জাপানের ফুজিফিল্ম তয়োমা ফার্মাসিউটিক্যালস লি.-এর অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ হিসেবে পরিচিত ‘অ্যাভিগান’।

২০১৪ সাল থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে অ্যাভিগান। সম্প্রতি চীন সরকার দাবি করে, এ ওষুধ ‘কোভিড-১৯’ প্রতিরোধে ভাল কাজে দিয়েছে। এরপরই বিশ্বে ওষুধটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। অ্যাভিগান কেনা ও বিতরণের জন্য জাপান জাতিসংঘ তহবিলে ১০ লাখ মার্কিন ডলারও দেবে।

গত মাসের শেষদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, তার সরকার নতুন এই ভাইরাসের চিকিৎসা হিসেবে অ্যাভিগানের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তার এমন ঘোষণার পরপরই তৃতীয় ধাপে ট্রায়াল এবং ২০ দেশকে বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণা আসে।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।