মার্কিন কোম্পানি গিলিডের ওষুধে দুই-তৃতীয়াংশ করোনা রোগী সুস্থ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০

অডিও শুনুন

গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির'র পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি গিলিড সায়েন্সের তৈরিকৃত এই ওষুধটি ৬৮ জন করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষায় এই ফল পাওয়া গেছে বলে শনিবার জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে শুক্রবার রেমডেসিভিরের প্রয়োগ নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে। তবে অ্যান্টিভাইরাল এই ওষুধটির পাশাপাশি আর কোন কোন ওষুধ ওই ৬৮ করোনা রোগীকে প্রয়োগ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

গবেষকরা করোনার চিকিৎসায় এই ওষুধ প্রয়োগের ফলকে আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন। তবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই পরীক্ষার ফলাফল ব্যাখ্যা করা কঠিন। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, ওষুধটি বিক্ষিপ্তভাবে রোগী বাছাই করে প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া রোগীর সংখ্যা ছিল খুবই কম এবং ফলোআপ সময়ও বেশি পাওয়া যায়নি।

কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন কিংবা কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে এই ভাইরাস উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে।

মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি গিলিড সায়েন্স গত মাসে তাদের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে। আগামী সপ্তাহে অন্য একটি গবেষণার চূড়ান্ত ফল আসতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। চীনের গবেষকরা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে।

তবে নতুন গবেষণাটিতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা এবং জাপানে রেমডেসিভির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। এই ওষুধটি প্রয়োগের আগে ৩০ জন রোগী ভেন্টিলেশনে ছিলেন, চারজন ছিলেন কৃত্রিম অক্সিজেনাটরে; এই মেশিনের সাহায্যে রোগীর শরীরে রক্ত পাম্প করা হয়। ওষুধটি প্রয়োগের ১৮ দিন পর ৩৬ জন অর্থাৎ ৬৮ শতাংশ রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং ১৫ শতাংশ রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের টিউব খুলে ফেলা হয়। এছাড়া ২৫ জন অর্থাৎ ৪৭ শতাংশ রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং মারা যান ১৩ শতাংশ বা ৭ জন।

তবে এই ওষুধটি প্রয়োগের পর ২৩ শতাংশ রোগীর শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এর মধ্যে শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল এবং কিডনির তীব্র জটিলতাও রয়েছে। গবেষক দলের প্রধান ডা. জোনাথন গ্রিন বলেন, আমরা এই গবেষণার ফলাফলের বৈধতার জন্য নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলের অপেক্ষায় আছি।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।