সুইমিং পুলে সময় কাটাচ্ছেন কর্নাটকের করোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী
পুরো দেশ যখন করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় লড়াই করছে। লকডাউনে খাবারের সংস্থান করতে হিমশিম খাচ্ছেন গরীব মানুষ। সেই সময় করোনা মোকাবিলায় গঠিত কমিটির প্রধান একজন মন্ত্রী খোশ মেজাজে সময় কাটাচ্ছেন সুইমিং পুলে।
এমন কাণ্ড করেই ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েছেন ভারতের কর্নাটক প্রদেশের এক মন্ত্রী। প্রদেশে করোনা-লড়াইয়ের নেতৃত্ব যার কাঁধে, তিনিই সুইমিং পুলে পরিবারের সঙ্গে খোশমেজাজে সময় কাটাচ্ছেন! সেই ছবি আবার নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন রাজ্যবাসীকে।
আনন্দবাজার বলছে, কর্নাটকের মন্ত্রী সুধাকর কের এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণে ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্ষোভ বুঝতে পেরে টুইট মুছে দিয়েছেন মন্ত্রী। রাজ্যের বিরোধীদল কংগ্রেস পদত্যাগ দাবি করেছেন সুধাকরের। তবে এই বিতর্কে সুধাকরের পাল্টা প্রশ্ন, ‘এটা কি অপরাধ?’
সুইমিং পুলে পরিবারের সঙ্গে তিনি সাঁতার কাটছেন। রোববার এমন একটি ছবি টুইটারে টুইট করে মন্ত্রী সুধাকর লিখেছিলেন, ‘দীর্ঘ দিন পর ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সাঁতার কাটছি। আশা করি, এখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রয়েছে।’
কর্নাটকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মোকাবিলার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তাদের নেতৃত্বের ভার এই সুধাকরের ওপরেই। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও ২৫০ ছাড়িয়েছে। এমন সঙ্কটকালে এই ধরনের ছবি পোস্ট করায় স্বভাবতই তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই মন্ত্রীর এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করে রিটুইট করেন। পরে অবশ্য টুইটটি ডিলিট করে দেন তিনি।
তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুধাকরের পদত্যাগ দাবি করেছেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। তার বক্তব্য, ‘সারা বিশ্ব যখন একটা কঠিন স্বাস্থ্য সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন করোনাভাইরাস মোকাবিলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুধাকর সুইমিং পুলে সময় কাটিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করছেন। এটা নৈতিকতার প্রশ্ন। তার নিজে থেকেই পদত্যাগ করা উচিত এবং মুখ্যমন্ত্রীর উচিত মন্ত্রিসভা থেকে তাকে বরখাস্ত করা।’
দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমকে সুধাকর বলেন, ‘গত দু’মাসে এত পরিশ্রম করেছি যে, পরিবার-সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুব কম পেয়েছি। আমরা লড়াই করছি। আমার ছেলে-মেয়েরা সুইমিং পুলে যেতে জোরাজুরি করছিল। কীভাবে ওদের আবদার ফিরিয়ে দিই! তাই ১০-১৫ মিনিট সময় কাটিয়েছি। এটা আমার বাড়ির ভেতরেই শিশুদের একটা ছোট পুল। এটা কি অপরাধ?’
এসআইএস/জেআইএম