জাপান থেকে মেশিন এনে দিল্লি স্যানিটাইজ করছে কেজরিওয়াল সরকার
দিল্লিকে করোনাভাইরাসের জীবাণুমুক্ত করতে জাপান থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নত মেশিন এনে ‘ম্যাসিভ স্যানিটাইজেশন ড্রাইভ’ চালাচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। করোনায় আক্রান্ত এলাকাগুলোকে ‘লাল’ ও ‘কমলা’ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে স্যানিটাইজ বা জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ বিষয়ে জানান, ‘অপারেশন শিল্ড’র অধীনে আক্রান্ত এলাকায় স্যানিটাইজেশন ড্রাইভ চালানোর জন্য ১০টি উন্নত-প্রযুক্তির জাপানি মেশিনসহ ৬০টি মেশিন নামানো হয়েছে। কাজে লাগানো হচ্ছে পানি বোর্ডের স্যানিটাইজেশন মেশিনগুলোও।
এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টির (এএপি) বিধায়ক রাঘব চাধা জানান, সোমবার (১৩ এপ্রিল) অত্যাধুনিক জাপানি মেশিনগুলি রাজিন্দর নগর অঞ্চলকে স্যানিটাইজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
রাজিন্দর নগরের এ বিধায়ক বলেন, ‘জাপানের এই মেশিনগুলোর দৈর্ঘ্য সুবিধামতো ঠিক করে নেয়া যায়, সেজন্যই এগুলো খুব সহজেই সরু সরু গলিতে প্রবেশ করতে পারে। পিপিএম সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের দ্রবণ ব্যবহার করা হয়েছে স্যানিটাইজ করতে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্যানিটাইজেশন গাইডলাইন অনুসারে, ভূপৃষ্ঠ জীবাণুমুক্ত করার জন্য দশমিক ৫ শতাংশ (৫০০০ পিপিএম এর সমতুল্য) সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের দ্রবণ প্রস্তাবিত। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, একটি সাধারণ জীবাণুনাশক, সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট ব্যবহার করে এক মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত সংক্রামক করোনাভাইরাসকে অক্ষম করে দেয়া যেতে পারে।
ভারতে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫৮ জন।
গত রোববার (১২ এপ্রিল) দিল্লিতে ২৭ জনের মৃত্যু ও ১ হাজার ১৭৬ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি উপদ্রুত অঞ্চল হিসেবে ৪৩টি এলাকা শনাক্ত হলে কেজরিওয়াল সরকার ‘অপারেশন শিল্ড’র অধীনে ‘ম্যাসিভ স্যানিটাইজেশন ড্রাইভ’র ঘোষণা দেয়।
সরকারের পক্ষ থেকে শিল্ড বা SHIELD শব্দের প্রতিটি অক্ষরের অর্থ বলা হচ্ছে, ‘S' মানে এলাকাগুলোর সিলিং, ‘H’ মানে হোম কোয়ারেন্টাইন, ‘I’ মানে আইসোলেশন এবং ট্রেসিং, ‘E’ মানে প্রয়োজনীয় সরবরাহ, ‘L’ মানে স্থানীয় স্যানিটাইজেশন এবং ‘D’ মানে ডোর-টু-ডোর চেকিং।
কেজরিওয়াল সরকার বলছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির দিলশাদ গার্ডেনে এই স্যানিটাইজেশন অভিযান সফল হয়েছে বলা যায়। শুরুর দিকে দিলশাদ গার্ডেনকে হটস্পট বলা হলেও সেখানে গত দশ দিনে নতুন কোনো করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়নি।
এইচএ/এমএস