লকডাউন : নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে প্রাণ গেছে ১৮ জনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১২ এএম, ১৭ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) নাইজেরিয়ায় মারা গেছে ১২ জন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ইতোমধ্যে কারফিউ জারি করেছে নাইজেরিয়া সরকার। দেশটির মানবাধিকার সংস্থার বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, দেশটিতে যতজন না কোভিড-১৯-এ মারা গেছে, তার চেয়ে বেশি মারা গেছে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে। কারফিউ অমান্য করায় অন্তত ১৮ জন নাগরিক তাদের হাতে মারা গেছে।

বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করেছে দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশন বলছে, নিরাপত্তাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ১০৫টি অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে। রাজধানী আবুজাসহ দেশের ২৪টি রাজ্যে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

এসব অভিযোগের মধ্যে আটটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। কারফিউ বলবৎ করার অংশ হিসেবে এ নিয়ে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে প্রাণ গেল ১৮ নাগরিকের।

আল-জাজিরার প্রতিনিধি আহমেদ ইদ্রিস আবুজা থেকে জানান, এ ১৮ জনের মধ্যে আটজনের প্রাণ গেছে দেশটির সংশোধনকারী কর্মকর্তাদের হাতে। পুলিশের হাতে মারা গেছে ৭ জন, সেনাবাহিনীর হাতে ২ জন। এছাড়া লকডাউন অমান্য করায় স্থানীয়দের মাধ্যমে মারা গেছে একজন।

নাইজেরিয়া সরকারের হিসাবে, এ পর্যন্ত দেশটিতে চারশো জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছে ১২ জন।

তবে মানবাধিকার কমিশন বলছে, লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে আইন প্রয়োগের নামে বিচারবহির্ভূতভাবে ১৮ জনকে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী।

কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ এড়াতে রাজধানী আবুজা, বাণিজ্যিক রাজধানী লাগোস ও কিছু রাজ্য লকডাউন ঘোষণা করেছে নাইজেরিয়া সরকার। এছাড়া অন্যান্য রাজ্যে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

দেশটির পুলিশের মুখপাত্র ফ্রাঙ্ক এমবা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, কোনো ধরনের লঙ্ঘন ও পেশাগত কাজে বাধা সহ্য করবে না পুলিশ। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং আন্তর্জাতিক নীতি মেনেই এটি করা হবে।

নাইজেরিয়ার নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে আইনের অপপ্রয়োগের অভিযোগ অনেক আগে থেকেই রয়েছে। তবে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।