অর্থনীতি বাঁচাতে সীমান্ত খুলে দিতে চান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
করোনাভাইরাস মহামারিতে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। আর এই সীমান্ত খুলে দেয়ার কারণে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে তার দায় নিজের ওপরই বর্তাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি সামলাতে লকডাউনের মতো কৌশল নিয়ে মতবিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন কট্টর ডানপন্থী এই প্রেসিডেন্ট। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহৎ অর্থনীতির ক্ষতি করছে লকডাউন এবং এটি বাতিল করা উচিত- বলেন বোলসোনারো।
তিনি বলেন, রাজ্য এবং শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও সেগুলো শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার তার নেই। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে গভর্নর এবং মেয়ররাই একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানানোর পর এসব কথা বলেন বোলসোনারো।
তবে দেশটির সীমান্ত খোলা না খোলার ব্যাপারে পুরো সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্টের। বোলসোনারো বলেন, তিনি আইনমন্ত্রী সার্জিও মোরোর সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন; বিশেষ করে উরুগুয়ে এবং প্যারাগুয়ে সীমান্ত।
নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টেইচের অভিষেক অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য চালু করা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। কিন্তু আমি এটি করতে চাই। কারণ প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি খারাপ হলে এর দায়ভার আমার ওপরই বর্তাবে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত মাসে দেশটির সব সীমান্ত বিদেশিদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে দেশটির পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন আগের মতোই চালু আছে।
এদিকে, শুক্রবার ভেনেজুয়েলা থেকে কূটনৈতিক সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ব্রাজিল। প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর নির্দেশে ভেনেজুয়েলা থেকে কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সূত্র: রয়টার্স।
এসআইএস/জেআইএম