ভারতে আক্রান্ত ১৬ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৫১৯
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ১১৬। আক্রান্তদের মধ্যে ৫১৯ জন মারা গেছে। রোববার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনা নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য দিয়েছে। খবর এনডিটিভি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৪ জন। এছাড়া একই সময়ে মৃত্যু হয়েছেন ৩১ জনের।
দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ মানুষের সংখ্যা এখন ২ হাজার ৩০২। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটিতে সুস্থ হওয়ার হার বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
২০ এপ্রিলের পর ‘করোনামুক্ত’ এলাকাগুলোর অর্থনৈতিক কাজকর্ম সচল রাখার বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর আগে ২০ এপ্রিলের পর এসব এলাকায় অর্থনৈতিক কাজকর্ম পুনরায় চালুর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লাভ আগরওয়ালের বরাতে জানিয়েছে, ভারতের ১২টি রাজ্যের মোট ২২টি জেলায় গত ১৪ দিনে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হননি।
লাভ আগরওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের মোট আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে ২৯.৮ শতাংশ অর্থাৎ ৪ হাজার ২৯১ জনের সঙ্গে গত মার্চে দক্ষিণ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত নিজামুদ্দিনে তাবলিগ জামাতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।’
ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র রাজ্যে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৬০০। এছাড়া সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তি মুম্বাইয়ের ধারাভিতে ১১৭ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।
দেশটিতে করোনা সংক্রমণে উপরের দিকে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লি। সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘জাহাঙ্গীর পুরিতে একই পরিবারের ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে চলতে হবে।’
কাশ্মীরের ৩০০ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। কেন্দ্রশাসিত ওই অঞ্চলটির রাজৌরি এবং কিস্তওয়ার জেলায় চারজন সুস্থ হওয়ার পর গত ১০ দিনে অবশ্য সেখানে আরও কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতেও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থা খুব খারাপ। গত শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস জেলায় স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর হামলা চালায় জনতা। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হতে পারে। তারপর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাটা কমতে শুরু করবে।
এসএ