করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আরও ধ্বংসাত্মক হতে পারে : মার্কিন সিডিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২০

অডিও শুনুন

দ্বিতীয় ধাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে তা আরও বেশি ধ্বংসাত্মক হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, মৌসুমী ফ্লুর সঙ্গে এই ভাইরাসের সংক্রমণ একই সময়ে শুরু হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড সামনের মাসগুলোতে মৌসুমী ফ্লুর ধাক্কা সামলানোর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে মার্কিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক স্বাক্ষাৎকারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ব্যাপারে মার্কিন এই স্বাস্থ্যপ্রধান বলেন, আমরা বর্তমানে করোনাভাইরাসের যে সংক্রমণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি; আগামী শীতে আমাদের দেশে সেটি আরও জটিল হতে পারে। তিনি বলেন, আমি যখন এই বিপদের কথা অন্যদের বলেছি, তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমি কি বুঝাতে চাইছি; সেটিই তারা বোঝার চেষ্টা করছে না।

সিডিসির পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, আমরা ফ্লু মহামারির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং একই সময়ে করোনাভাইরাস মহামারিও চলবে। সেই সময় এই মহামারি আরও বেশি ধ্বংসাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে।

২০০৯ সালে এইচওয়ানএনওয়ান সোয়াইন ফ্লু মহামারির সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ধাপের সংক্রমণের ঢেউ শুরু হয় বসন্তকালে (মার্চ থেকে জুন)। দ্বিতীয় ধাপে দেশটিতে এই ফ্লুর ভয়াবহ সংক্রমণ শুরু হয় সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এবং শীতকালে।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৪৪ হাজার ৮৪৫ জন; যা বিশ্বের একক কোনো দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন আরও দুই হাজার ৭০ জনের বেশি মানুষ। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে এবং চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়া ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন চলছে। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে এখন ঘরবন্দী সময় কাটাচ্ছেন।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।