করোনা সারাতে ট্রাম্পের আজগুবি পরামর্শে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২০

শরীরে জীবাণুনাশক ঢুকিয়ে অথবা অতিবেগুনী রশ্মি প্রয়োগ করে করোনাভাইরাস ধ্বংস করার উপায় বাতলে দিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিকিৎসকরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পরামর্শের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা এবং মেডিক্যাল শাস্ত্র কখনই এ ধরনের পরামর্শ সমর্থন করে না।

ট্রাম্প বলেছেন, শরীরে জীবাণুনাশক অথবা অতিবেগুনী রশ্মির প্রবেশকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার উপায় হিসাবে নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।

জীবাণুনাশক করোনাভাইরাসকে মেরে ফেলতে পারে। তবে এটি শুধুমাত্র যেসব পণ্য মানুষ স্পর্শ করে সেগুলোতে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল প্রোপার্টিজ ব্যবহার করে সেসব পণ্যকে ভাইরাসমুক্ত করার জন্য ভালো ধারণা।

বেশ কিছু গবেষণা আছে যে, সাধারণভাবে সূর্যের আলোতে সরাসরি এলে কিছু ভাইরাস দ্রুত মারা যেতে পারে। কিন্তু করোনাভাইরাসকে মেরে ফেলার জন্য অতিবেগুনী রশ্মি কতক্ষণ প্রয়োগ করতে হবে সেব্যাপারে কোনও তথ্য নেই। যে কারণে চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হাত, শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ ঘনঘন পরিষ্কার করা এবং মুখ, চোখ, নাক স্পর্শ না করা।

বিবিসি বলছে, এই ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির হাচি-কাশির মাধ্যমে বেরিয়ে আসা কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। শরীরে প্রবেশের পরপরই এটি বংশ বৃদ্ধি করে এবং দ্রুত গতিতে বিস্তার ঘটাতে থাকে। সেখান থেকে ফুসফুসের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই ভাইরাসকে শরীরের ভেতরে ধ্বংস করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জীবাণুনাশক পুশ করার যে পরামর্শ দিয়েছেন; তাতে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। এমনকি জীবাণুনাশক পুশ করা হলেও তা ভাইরাস পর্যন্ত পৌঁছাবে না।

একইভাবে শরীরে এই ভাইরাস ঢুকে পরার পর ত্বকের ওপর অতিবেগুনী রশ্মি প্রয়োগ করা হলেও তাতে কোনো কাজ হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭০৯ জন। প্রতিনিয়ত দেশটিতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কাড়ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায়ও দেশটিতে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গেছেন।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।