‘করোনার গোপন তথ্য সংরক্ষণের পর’ উধাও চীনের ৩ অনলাইন কর্মী
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে চীন। ইতোমধ্যেই দেশটিতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী সরকারের সমালোচনার পর গায়েব হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আরও তিনজনের নাম।
চেন মেই. কাই ওয়েই ও কাইয়ের বান্ধবী টাং গত ১৯ এপ্রিল থেকে গায়েব বলে দাবি করেছেন চেনের ভাই চেন কুন। ওই তিনজন মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্লাটফর্ম গিটহাবে টার্মিনাস২০৪৯ নামে একটি পেজে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কিছু স্পর্শকাতর ফাইল সংরক্ষণ করেছিলেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই টার্মিনাস২০৪৯ পেজটি ব্লক করে দিয়েছে চীনা প্রশাসন।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, টার্মিনাস২০৪৯-এর দুই কর্মী কাই ও টাংয়ের বিরুদ্ধে ‘ঝগড়ায় সমর্থন ও ঝামেলায় উসকানি’ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তারা ‘একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নজরদারিতে’ রয়েছেন উল্লেখ করে বেইজিংয়ের চাওইয়াং জেলা পুলিশ তাদের পরিবারের কাছে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে।
তবে চেন কুন জানিয়েছেন, তার ছোটভাইয়ের আটকের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, কাই ও টাংয়ের মতো একই সময়েই গায়েব হয়েছে চেন মেই। চেন ও কাই দুজনেই টার্মিনাস২০৪৯-এর কন্ট্রিবিউটর ছিল। আমাদের ধারণা, ওই প্রোজেক্ট সম্পর্কিত কোনও কারণেই তারা গায়েব হয়েছে।’
টার্মিনাস২০৪৯-এ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বেশ কিছু স্পর্শকাতর ঘটনা প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনা বিষয়ক হুইসেলব্লোয়ার ও উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক আই ফেনের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছিল অনলাইন প্রোজেক্টটি। পরে সাক্ষাৎকারটি পিপলস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় এবং গোটা চীনজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
কেএএ/