করোনা: ভারত-চীনের তুলনায় স্বস্তিতে পাকিস্তান
পাকিস্তানে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইরানফেরত দুই নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা জানিয়েছিল পাকিস্তান। তবে সেখানে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। সেই থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট প্রাণহানি হয়েছে ৩২৭টি, যা প্রতিবেশী চীন ও ভারতের তুলনায় অনেক কম।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মতো পাকিস্তানেও ক্রমেই বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করোনা টেস্টের সক্ষমতাও বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৮০৬ জন।
বুধবার সকালে পাকিস্তানি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অন্তত ২৬ জন।
পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৮৫ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৪২৫ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, যা মোট আক্রান্তের সংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ। দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ হাজার ১৩৩ জন।
এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯১১টি নমুনা পরীক্ষা করেছে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এর মধ্যে বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে করা পরীক্ষাগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবার শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। তবে চারমাসের মধ্যে মহামারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে তারা। গত কয়েকদিন ধরেই সেখানে মৃত্যুর ঘটনা নেই বললেই চলে, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও অত্যন্ত কম। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৯৪০ জন। মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৭ জন।
ভারতে গত ৩০ জানুয়ারি প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেখানে এ পর্যন্ত মোট ৩১ হাজার ৩৩২ জনের শরীরে ধরা পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস, মারা গেছেন ১ হাজার ৮ জন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশটিতে হু হু করে বাড়ছে করোনার প্রকোপ।
সূত্র: শিনহুয়া, রয়টার্স
কেএএ/পিআর