করোনা, লকডাউনের পর এবার নবজাতকের নাম ‘কোভিড’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৮ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০

বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এর আগে এরকম দুর্যোগের সম্মুখীন হয়নি বিশ্ব। এ পর্যন্ত ২ লাখ ২৮ হাজার মানুষের প্রাণ নিয়েছে এই ভাইরাস। গোটা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ৩২ লাখেরও বেশি মানুষ।

তাই এই মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত কয়েকটি শব্দ হলো-করোনা, কোভিড ও লকডাউন। এই শব্দগুলো যখন মানুষের কাছে এক আতঙ্ক ও অসহায়ত্বের নাম, ঠিক তখনই একে আশীর্বাদ হিসেবেও নিচ্ছেন অনেকে। এই শব্দগুলো দিয়ে নাম রাখা হচ্ছে নবজাতকের।

করোনা কুমার, করোনা কুমারি, লকডাউনের পর এবার নবজাতকের নাম রাখা হলো কোভিড। ফিলিপাইনের এক দম্পতি তাদের নবজাতক কন্যা সন্তানের নাম রেখেছেন কোভিড মেরি।

গত ১৩ এপ্রিল কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সেন্ট্রাল ফিলিপাইনের ব্যাকোলড শহরের কলিন তাবেসা ও জন টুপাস দম্পতি। করোনার এই ক্রান্তিকালে বিশেষ এই দিনকে স্মরণীয় রাখতে তাদের সন্তানের নাম রাখেন কোভিড মেরি।

এ বিষয়ে কোভিডের বাবা জন টুপাস বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এখন ভোগান্তির কারণ কোভিড-১৯। আমি আমার সন্তানের নাম কোভিড রেখেছি এটা স্মরণ করে দিতে যে, কোভিড-১৯ শুধু দুঃখ-দুর্দশা সৃষ্টি করার জন্য আসেনি-এসব সত্ত্বেও এটা আমাদের জন্য মঙ্গলেরও প্রতীক।’

সন্তানের নাম কোভিড রাখায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার শিকার হয়েছেন বাবা টুপাস। তবে দমে যাওয়ার পাত্র নন তিনি। তিনি সমালোচকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এ নাম রাখায় হয়তো আমার মেয়েকে নিয়ে মশকরা করা হবে। তবে আমি তাকে শিক্ষা দেব যাতে সে একজন ভালো মানুষ হয়। এছাড়া আর কিছু ভাবছি না আমরা।’

cov

ভারতেও একই ঘটনা ঘটেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরের দুই মা তাদের সন্তানের নাম রাখেন করোনা কুমার ও করোনা কুমারি। তাদের এ নাম রাখতে উৎসাহিত করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

শুধু তাই নয়, ভারতের অভিবাসী এক শ্রমিক দম্পতি তাদের সন্তানের নাম রাখেন লকডাউন। বাবা সঞ্জয় বাউরিকে উদ্ধৃত করে তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হয়, এই কঠিন সময়ে তারা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তা স্মরণীয় রাখতেই তাদের সন্তানের নাম রাখেন লকডাউন।

সূত্র : চ্যানেল নিউজ এশিয়া

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।