জাপানে জরুরি অবস্থার মেয়াদ একমাস বাড়ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০

জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও প্রায় একমাস বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপান। করোনার বিস্তার রোধে দেশটির পার্লামেন্টে আইন প্রণয়ন করে যে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল তা আগামী ৬ মে শেষ হওয়ার কথা। সরকারি সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে জারি করা লকডাউন ইউরোপসহ অন্যান্য অনেক দেশ যখন ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করছে তখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আগামী ৭ মে থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরা খুব কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।’ তিনি আরও জানান, আরও বেশকিছুদিন ‌‘দেশকে এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আরও বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও বাড়ানো যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তিনি। আগামীকাল শুক্রবার দেশটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল শিনজো আবের নেতৃত্বে তা মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করবে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

গত ৭ এপ্রিল রাজধানী টোকিওসহ সাতটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করে। এর পলে ওইসব অঞ্চলের গভর্নররা তাদের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার ব্যাপারে যে নির্দেশ দেবেন তা আরও জোরালো হয়। তবে এটা মানতে বাধ্য নয় দেশটির জনগণ। এর কারণে কোনো জরিমানাও করা যাবে না, কেননা দেশটির সংবিধানে মানুষের চলাচলের স্বাধীনতা রয়েছে।

তবে জাপানে খুব কম করোনা পরীক্ষার কারণে ধারণা করা হচ্ছে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ হয়তো আরও বেশি হতে পারে। এছাড়া ভাইরাসের কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তাতে করে দেশটিতে ভোক্তাদের চাহিদা কমেছে। এছাড়া মানুষের খুচরা পণ্য ক্রয়ের পতন রেকর্ড সর্বনিম্ন হওয়ার কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জপানে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৩৬ জন মারা গেছেন। মৃত্যুর হারের দিক থেকে যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় যা অনেক কম। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৪ হাজারের বেশি শুধু রাজধানী টোকিওতে। বৃহস্পতিবার নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪৬ জন।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।