ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু-আক্রান্ত
ভারতে মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৭ জন মারা গেছেন। দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৫২ জন। এছাড়া একদিনে সর্বোচ্চ প্রায় ১৮শ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেওয়া হলানাগাদ তথ্যের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে মহামারি করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা এখন ৩৫ হাজার ৩৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৭৫৫ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে দেশটি।
ভারতে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়াবহ মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও দিল্লিতে। এই তিন রাজ্যে আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মহারাষ্ট্র রাজ্য এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৫৯ জনের; যা ভারতে করোনায় মোট মৃত্যুর ৪৬ শতাংশেরও বেশি।
মহারাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয় গত ৯ মার্চ। কিন্তু এরপর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতে আক্রান্তের সংখ্যায় সবার উপরে উঠে আসে রাজ্যটি। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সবসময়ই শীর্ষস্থানে রয়েছে এই রাজ্য। ভারতে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ৩১ শতাংশেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রে।
মহারাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৯৫। মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জনের। তৃতীয় স্থানে থাকা জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে ৩ হাজার ৫১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৫৯ জন মারা গেছেন। তবে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সাড়ে ৮ হাজারের বেশি মানুষ এখন সুস্থ।
অন্যান্য রাজ্যগুলোর মধ্যে মধ্যপ্রদেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৬০ জন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জনের। রাজস্থানে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৫৮৪ জন। আক্রান্ত ৫৮ জন মারা গেছেন। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৩। জনবহুল উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ২ হাজার ২০৩ জনের মধ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকার প্রেক্ষিতে ভারতজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ ৪ মে থেকে দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৭ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। আগামী ৩ মে ভারতের লকডাউন শেষ হওয়ার কথা থাকলে তৃতীয় দফায় ১৪ দিনের জন্য লকডাউন বাড়ানোর এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এসএ