পশ্চিমবঙ্গে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪২ এএম, ১১ মে ২০২০

গত চারদিন ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল একশোর কাছাকাছি কিংবা তারও বেশি। কিন্তু রোববার স্বাস্থ্য দফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে; যা ওই রাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

স্বাস্থ্য দফতরের করোনা নিয়ে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে আরও ১৪ কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শুধু কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজারের বেশি।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১০ জনই কলকাতার। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের স্যংখা বেড়ে হয়েছে ১৮৫ জন। নতুন যারা করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তারা কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও হুগলি জেলার বাসিন্দা।

তৃতীয় দফার লকডাউনের পর ধারণা করা হচ্ছিল করোনার সংক্রমণ কমবে কলকাতায়। কিন্তু তেমনটা হয়নি বরং দিনে দিনে কলকাতায় করোনা তার প্রাণঘাতী সংক্রমণ আরও বাড়িয়েছে। এই সময়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা এবং সংক্রমিত এলাকা। এখন কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কলকাতা শহর।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে এখনো করোনামুক্ত রয়েছে সাতটি জেলা। এসব জেলাকে সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো কোচবিহার, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বাঁকুরা, আলিপুরদুয়ার ও ঝাড়গ্রাম।

আর সব থেকে বেশে আক্রান্ত ১১টি জেলাকে রাখা হয়েছে রেড জোনে। এই ১১টি জেলা হলো কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ ও বীরভূম। সামান্য আক্রান্ত পাঁচ জেলা রয়েছে কমলা জোনে।

স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় রোগমুক্ত হয়েছেন আরও ৪৫ জন। সব মিলিয়ে ওই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪১৭ জন সুস্থ হয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রোগমুক্তির হার ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।