করোনার দায় চীনের ঘাড়ে চাপাতে গিয়ে বিপাকে অস্ট্রেলিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের মতো করোনাভাইরাস মহামারির দায় চীনের ঘাড়ে চাপাতে গিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা করোনার উৎস বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানানোর পর থেকেই উত্তপ্ত বেইজিং-ক্যানবেরা সম্পর্ক।
চীনের দাবি, অস্ট্রেলিয়া তাদের ওপর ‘হীন কৌশল’ খাটানোর চেষ্টা করছে। এ দ্বন্দ্বের জেরে সম্প্রতি তারা অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে মাংস আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্লি আমদানিতেও চড়া শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছে বেইজিং।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা কমাতে সম্প্রতি আলোচনার অনুরোধ জানালেও চীন তাতে সাড়া দেয়নি বলে দাবি করেছেন অস্ট্রেলীয় বাণিজ্যমন্ত্রী সাইমন বার্মিংহাম। রোববার স্থানীয় টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা দরকার, আমরা এর জন্য প্রস্তুত। তবে এ অনুরোধে এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।’
এসময় চীন যদি অস্ট্রেলিয়ার বার্লি আমদানিতে বাড়তি শুল্ক বসায় তবে এ বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ জানানো হতে পারে বলেও সতর্ক করেন অজি মন্ত্রী।
করোনা মহামারির জন্য বেশ কিছুদিন থেকেই চীনকে সরাসরি দায়ী করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন ‘জ্ঞাতসারে মহামারির জন্য দায়ী’ হলে এর জন্য কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রপন্থী বলে পরিচিত অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ট্রাম্পের এ মতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে চীনে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। আগামী সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক সমাবেশেও তারা একই মতবাদে বিশ্বাসী অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত।
তবে বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন। তাদের দাবি, চীনে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে উপস্থাপিত সব তথ্যই সত্য এবং উন্মুক্ত। তারা কোনও তথ্য গোপন করেনি বা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় তাদের কোনও হাত নেই।
সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/পিআর