ভ্যাকসিন সবাইকে দেয়ার আশ্বাস শি জিনপিংয়ের
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন চীন তৈরি করতে পারলে তা বিশ্বের জনসাধারণের মঙ্গলের জন্য সবাইকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবার জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনলাইন অধিবেশনে অংশ নিয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি।
বিশ্বে ৩ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া করোনাভাইরাসকে থামানোর উপায় খুঁজছে বিভিন্ন দেশ। থেমে নেই চীনও; দেশটিতে করোনার সম্ভাব্য পাঁচটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে রয়েছে।
অধিবেশনে শি জিনপিং বলেন, চীনের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের গবেষণা ও তৈরির পর ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হলে তা বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের কল্যাণের জন্য সবাইকে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও এই ভ্যাকসিন সহজলভ্য করা এবং ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা নেবে চীন।
এর আগে গত সপ্তাহে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপপরিচালক জেং ইয়াইসিন বলেন, আরও বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন পাইপলাইনে আছে। এই ভ্যাকসিনগুলো মানবদেহে ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করতে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৮ মাস সময়ের প্রয়োজন। এমনকি এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই অধিবেশনে শি জিনপিং বৈশ্বিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। এই সহায়তা আগামী দুই বছর দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
অধিবেশনে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তোলে অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু শি জিনপিং মহামারি নিয়ন্ত্রণে এলেই কেবল তদন্ত শুরু হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
এর আগে ক্যানবেরা এবং ওয়াশিংটন এ ধরনের তদন্তের আহ্বান জানালে চীন তা নাকচ করে দেয়। শি জিনপিং নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যাপারে চীনের রাজি থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর চীন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে শি জিনপিং বলেন, চীন উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ ছিল। এই রোগের তথ্য সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছিল বেইজিং।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র চার মাসের মধ্যেই বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজারের বেশি। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৮ লাখ ২০ হাজার।
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর