প্রাণ বাঁচাবে, করোনার মৃত্যু ঘটাবে যে মাস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ১৯ মে ২০২০

নতুন এক ধরনের মাস্ক তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এ কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে। মূলত করোনা থেকে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই এ ধরনের মাস্ক তৈরির কাজ চলছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এমন ধরনের ফেস মাস্ক আনতে যাচ্ছেন যা করোনাভাইরাসকে মেরে ফেলবে এবং মানুষের জীবন বাঁচাবে। এসব মাস্কে কেমিক্যালের একটি স্তর থাকবে। সেখানে করোনাভাইরাস আটকে যাবে এবং এর মৃত্যু ঘটবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী নতুন একটি মেডিক্যাল মাস্ক নিয়ে কাজ করছেন।

করোনাভাইরাসের গায়ে 'এস-প্রোটিন' স্পাইক থাকে। এর মাধ্যমেই এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং শরীরের বিভিন্ন কোষগুলোতে সংক্রমণ ছড়ায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন মাস্কের মধ্যে এনজাইমের একটি স্তর থাকবে। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রোটিন স্পাইক আলাদা হয়ে মারা যাবে।

বিজ্ঞানীরা এই মাস্ক নিয়ে খুবই আশাবাদী। তারা বলছেন, যদি তাদের আবিষ্কার সফল হয় তবে কয়েক লাখ স্বাস্থ্যকর্মী এসব মাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন। বিশেষ করে যারা সরাসরি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা করছেন তাদের জন্য এই মাস্ক খুবই জরুরি।

mask

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের কর্মীরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে এই মহামারির পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিবাকর ভট্টাচার্য্য এক বিবৃতিতে বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আমরা এন-৯৫ মাস্কের মতো এমন এক ধরনের মাস্ক আনতে সক্ষম যাতে আলাদা একটি স্তর থাকবে। এটা শুধুমাত্র সঠিকভাবে ফিল্টারের কাজই করবে না বরং তা ভাইরাসকেও পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে।

তিনি বলেন, নতুন এই আবিষ্কারের মাধ্যমে ভাইরাসের গতি কমে যাবে, এমনকি ভাইরাসের বিস্তার বাধাগ্রস্ত হবে। এটা ভবিষ্যতেও অন্যান্য ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে।

বিজ্ঞানীদের এই দলটি বলছে, সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই মাস্ক আনতে তাদের আরও ছয় মাস সময় লাগবে।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।