ইঁদুরের দেহে সফল থাই ভ্যাকসিন আসছে আগামী বছর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৩ পিএম, ২০ মে ২০২০

বিশ্বজুড়ে এখন এক আতঙ্ক করোনাভাইরাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে মানবজাতিকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছেন।

ইতোমধ্যেই বেশ কিছু দেশে ভ্যাকসিন তৈরি কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এদিকে থাইল্যান্ড বলছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন হয়তো আগামী বছরই ব্যবহার করা যাবে।

দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

থাই সরকারের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মুখপাত্র তাউসিন উইসানুইয়োথিন বলেন, ইঁদুরের দেহে সফল হওয়ায় আগামী সপ্তাহে এমআরএনএ ভ্যাকসিন বানরের দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে।

তিনি বলেন, আগামী বছরই এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যাবে। থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট, ডিপার্টমেন্ট অব মেডিক্যাল সাইন্স অ্যান্ড চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটি ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টার এই ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করছেন।

এদিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তিন মাসের প্রচেষ্টায় চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। নভেল করোনাভাইরাসের দুর্বল প্রজাতির একটি অংশ ও জিন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন।

দীর্ঘদিন ধরেই এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি বানরের দেহে এই ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা সফল হয়নি।

বেশকিছু বানরের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর দেখা গেছে যে, এগুলোর দেহে এই ভ্যাকসিন ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে প্রাণী দেহে নিউমোনিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন।

চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামের ভ্যাকসিনটির একটি দুর্বল সংস্করণ শিম্পাঞ্জির সাধারণ ঠান্ডাজনিত ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। মানুষের শরীরেও এটি কাজ করে কিনা তা নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।-আল জাজিরা। 

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।