স্বামী কোয়ারেন্টাইনে, প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ২৬ মে ২০২০
প্রতীকী ছবি

‘ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া’। এই কথাটিই যেন ফলেছে ভারতের মধ্য প্রদেশের এক ব্যক্তির ভাগ্যে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে লকডাউনের হাজারো বাধা ডিঙিয়ে বেচারা দিল্লি থেকে রাজ্যের ছাতারপুর জেলার মুন্দেরি গ্রামের বাড়ি ফিরেছিলেন। প্রশাসনিক নির্দেশনায় তাকে যেতে হয় কোয়ারেন্টাইনে। আর এই কোয়ারেন্টাইনের সুযোগ নিয়েই ওই ব্যক্তির স্ত্রী পালিয়ে গেছেন পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে।

এ ঘটনায় ৫০ বছর বয়সী ওই পরিযায়ী শ্রমিক (এক রাজ্য থেকে গিয়ে আরেক রাজ্যে কাজ করা) নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পর তিন সন্তানের মা সেই নারীকে (৪৬) খুঁজছে পুলিশ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ওই ব্যক্তি দিল্লির একটি এলাকায় কাজ করতেন। কর্মস্থলের পাশেই বাসা নিয়ে থাকছিলেন তিনি। ওই বাসায়ই তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও সন্তানরা। কিন্তু দেড় বছর আগে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

মার্চে ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হলে লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকের মতো আটকা পড়েন ওই ব্যক্তিও। শেষে সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ‘শ্রমিক স্পেশাল’ ট্রেন চালু করলে তাতে গ্রামের বাড়ি ফেরেন তিন সন্তানের এই জনক।

১৯ মে বাড়ি ফেরার পরই তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা। নিজের বাড়ির একটি কক্ষে থাকছিলেন তিনি। আরেকটি কক্ষে থাকছিলেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা।

২৪ মে ওই ব্যক্তি ঘুম থেকে ওঠার পর দেখেন তার কক্ষ বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। নানা কায়দা করে কক্ষ থেকে বেরিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের খোঁজ করতে থাকেন। সন্তানদের পেলেও স্ত্রীর খোঁজ মিলছিল না। কিছু বলতে পারছিলেন না তার সন্তানরাও।

নিজের মুখে গামছা বেঁধে ওই ব্যক্তি আশপাশের সব বাড়িতে খোঁজ নিতে থাকেন। মোবাইল ফোনে খোঁজ নিতে থাকেন আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের কাছেও।

কিন্তু পরে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, তার অনুপস্থিতিতে গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই প্রেমিকের হাত ধরেই এই দুঃসময়ে পগার পার হয়েছেন তিনি।

এইচএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।