করোনার দীর্ঘ যুদ্ধের মুখোমুখি ভারত: মোদি
সর্বোচ্চ সংক্রমণ এবং মৃত্যুর দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, মহামারি করোনার দীর্ঘ লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। জাতির উদ্দেশে দেয়া এক খোলা চিঠিতে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
মোদি বলেছেন, সীমিত সম্পদ এবং ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আমাদের দেশ ভয়াবহ এক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। করোনাভাইরাস বিধি-নিষেধের কারণে দেশের কোটি কোটি দিনমজুর এবং অভিবাসী শ্রমিক চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী।
দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৯৬৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন শনিবার; যেদিন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত লকডাউনের মেয়াদ পঞ্চম দফায় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছাড়া অন্যান্য স্থানে শপিংমল, রেস্টুরেন্ট এবং উপাসনালয় আগামী ৮ জুন থেকে খোলার অনুমতি দিয়েছে করোনায় মৃত্যুতে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ স্থানে থাকা ভারত।
দেশটিতে চতুর্থ দফায় বাড়ানো লকডাউনের মেয়াদ শনিবার (৩০ মে) থেকে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেদিনই দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পঞ্চম দফায় আরও এক মাস লকডাউন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বলছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিনেমা হল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন এলাকাকে কয়েক ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে রেড জোন এলাকাগুলোতে বিধি-নিষেধে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া কমঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার কথা জানানো হয়েছে।
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতে লকডাউন বৃদ্ধি এবং বিধি-নিষেধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ ধাপের লকডাউনের উদ্দেশ্য হলো সবকিছু পুনরায় খুলে দেয়া। তবে এর কেন্দ্রে থাকবে অর্থনীতির চাকা সচল করা।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ কঠোর লকডাউনে যায় ভারত। প্রথম লকডাউন আরোপের পর এ নিয়ে চারবারের মতো মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো। প্রতিবেশি চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে ভারতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার। মারা গেছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
সূত্র: আলজাজিরা, এনডিটিভি।
এসআইএস/জেআইএম