বিশ্বে একদিনে প্রাণহানি নেমে এখন ৩ হাজারে
মহামারি নভেল করোনাভাইরাস‘শক্তি হারাচ্ছে’। ইতালির একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করেছেন, ভাইরাসটির সংক্রমণ এখন অনেক ‘কম মারাত্মক’। আর এরমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে আশার খবরও। করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে প্রাণহানি এখন নেমে এসেছে ৩ হাজারের কোঠায়।
চীন পর প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয় কেন্দ্র ইউরোপে সংক্রমণ কমেছে ভাইরাসটির। এই মহাদেশের বেশিরভাগ দেশে লকডাউন শিথিল করেছে। এছাড়া করোনার সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও করোনায় একদিনে মৃত্যু এক হাজারের নিচে নেমেছে। তবে সংক্রমণ বেড়েছে এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায়।
পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার মহামারির শুরু থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আসছে। ওয়েবসাইটে দেওয়া সবশেষ হিসাবে, গতকাল বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ হাজার ১৯১ জন। যা এপ্রিল কিংবা মে মাসের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।
গতকালের হিসাব অনুযায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুতে এখনো শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু যথাক্রমে ব্রাজিল ও মেক্সিকোতে। একদিনে মৃত্যুর তালিকায় এরপরই রয়েছে ভারত। গতকাল দেশটিতে মারা গেছে ২২৩ জন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও গতকাল সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে।
এছাড়া একদিনে মৃত্যুতে উপরের দিকে রয়েছে কানাডা। সেখানে মারা গেছে ২২২ জন। লাতিন আমেরিকার দেশ চিলি ও পেরুতেও মৃত্যু আক্রান্ত ঊর্ধ্বমুখী। তবে ইউরোপে সংক্রমণ কমলেও রাশিয়ায় তা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই। আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাজিলের পর দেশটির অবস্থান।
ভারতও একদিনে সার্বোচ্চ আক্রান্ত-মৃত্যুর পর আক্রান্তের দিক দিয়ে টপকে গেছে ফ্রান্স ও জার্মানিকে। তবে প্রতিদিন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যাটা এখনো লাখের নিচে নামেনি। তবে স্বস্তির বিষয় হলো বেশিরভাগ দেশেই তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে মৃত্যু।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক সপ্তাহ পর হাজারের নিচে নেমেছে মৃতের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৬৩৮ জন; মোট আক্রান্ত ১৮ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের কারণে করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা এখন ৬৩ লাখ প্রায়। মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি। কেননা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তদের মধ্যে ২৮ লাখ ৬৪ হাজারের বেশে এখন সুস্থ।
এসএ