বদহজমের ওষুধে ৪৮ ঘণ্টায় সুস্থ করোনা রোগী: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, ০৫ জুন ২০২০

করোনার কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি এখনো। শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরি হলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় একটিও কার্যকর ও নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়নি। আর বিদ্যমান নানা ওষুধ নিয়েও চলছে গবেষণা। এরমধ্যে বদহজমের একটি ওষুধ হিউম্যান ট্রায়ালে কার্যকর ফল দিয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বদহজমের এক প্রকার ট্যাবলেট হিউম্যান ট্রায়ালে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ জন কোভিড-১৯ রোগী মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন। গবেষণার ফলাফল গাট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

মহামারি করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্বের জন্য এমন গবেষণা অবশ্যই আশা জাগানিয়া একটি খবর। কেননা এই ভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী ৬৭ লাখের বেশি মানুষে সংক্রমিত হয়েছে। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তদের মধ্যে প্রায় চার লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সংক্রমণ বাড়ছেই বিশ্বজুড়ে।

কোভিড-১৯ রোগীদের ওপর প্রয়োগ করা ট্যাবলেটটির জেনেরিক নাম ‌‘ফ্যামোটিডিন’। এর পেপসিড এসি ব্র্যান্ডনেমের ট্যাবলেট সেবন করেন রোগীরা। ট্রায়ালে হালকা লক্ষণের দশজন রোগী প্রতিদিন ট্যাবলেটটি সেবন করেন। এরপর তারা জানান, দুদিন পর থেকে তাদের শ্বাসকষ্ট এবং কাশি কমেছে।

ফ্যামোটিডিন ঠিক কীভাবে কাজ করে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সরাসরি ভাইরাসের কার্যকলাপ ও বিস্তার থামিয়ে থাকতে পারে অথবা ‘ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েল হেলথ কেয়ারে ২৩ থেকে ৭১ বছর বয়সী চারজন নারী এবং ছয়জন পুরুষ করোনা রোগীকে এই ওষুধের ট্রায়াল দেওয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়। তারপর হালকা উপসর্গের এই দশজন রোগী যখন বেশি অসুস্থ বোধ করেন, তখনই তাদের নিয়ম করে খেতে দেওয়া হয় ওষুধটি।

ওই রোগীরা বলছেন, ২৪ থেকে ২৮ ঘণ্টা পর তাদের উপসর্গগুলো কমতে থাকে। ১৪ দিনের মাথায় ‘সব’ উপসর্গ চলে যায়। এখানে পাঁচটি উপসর্গকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে- কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং স্বাদ/গন্ধ চলে যাওয়া। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট সেরেছে বেশি দ্রুত।

তবে যে দশজন রোগীকে এই ওষুধ সেবনের জন্য দেওয়া হয় তাদের মধ্যে সাতজনের শরীরেই কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তিনজনের হালকা মাথাঘোরা এবং অনিদ্রার সমস্যা দেখা যায়। এই ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা।

তারা বলছেন, আবার ট্রায়াল দিয়ে ওষুধটির বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। তারা লিখেছেন, ‘আমাদের প্রাপ্ত ফলাফল (ফাইন্ডিংস) এর কার্যকারীতাকে সমর্থন করছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও তথ্যমূলক গবেষণার প্রয়োজন।’

গবেষণা দলের একজন সদস্য বলেন, আমাদের এই গবেষণায় যদিও অল্পসংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছে তারপরও এর ফল আশাব্যঞ্জক। এখন আমরা আরও বৃহৎ পরিসরে নতুন করে গবেষণা করে দেখবো গণহারে এর কার্যকারিতা কেমন হয়।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।